ধারঃ বিয়েতে বর ধুতি-পাঞ্জাবি না পরে শেরওয়ানি পড়ে বিয়ে করতে এসেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ব্যাপক সংঘর্ষে জড়াল পাত্রী এবং পাত্র পক্ষ। সেই সংঘর্ষ মুহূর্তের মধ্যে এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছায় যে ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশেষ বাহিনীকে এসে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে। শুনতে অবাস্তব মনে হলেও, বাস্তবে এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ধার জেলার একটি গ্রামে। জানা যাচ্ছে ধারের মাংবেদা নামের একটি গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে যখন পাত্রীপক্ষ জোর করে বরকে ধুতি পাঞ্জাবি পরানোর চেষ্টা করে। অন্যদিকে বরসহ বর পক্ষের দাবি ছিল শেরওয়ানি পরেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন পাত্র। এই দ্বিমতকে কেন্দ্র করেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বাকবিতন্ডা, পরে হাতাহাতি এবং শেষে ব্যাপক পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই হাতের বাইরে চলে যায় যে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ থামায়।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ধমনোদথানার ইনচার্জ সুনীল যদুবংশ জানিয়েছেন, ধার শহরের বাসিন্দা ওই পাত্র সুন্দরলাল শেরওয়ানি পড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ায় ব্যাপক আপত্তি জানায় কনের বাড়ির আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি ছিল ধুতি-পাঞ্জাবি পরে বিয়ের অনুষ্ঠানে বসতে হবে বরকে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয় এবং শেষে সেটা ভয়াবহ সংঘর্ষের রূপ নেয়।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, উভয়পক্ষের সদস্যরাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ২৯৪ তথা অশ্লীল কাজ ৩২৩ অর্থাৎ স্বেচ্ছায় আঘাত করা এবং ৫০৬ অর্থাৎ অপরাধমূলক ভয় দেখানোর অধীনে মামলা রুজু হয়েছে। পরে অবশ্য পাত্র সুন্দরলাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন যে এই ঘটনার পেছনে কনের পরিবারের সাথে তাঁর পরিবারের কোনও বিরোধ ছিল না। কিন্তু বিয়েতে আমন্ত্রিত পাত্রপক্ষের কিছু আত্মীয়র কারণেই এই ঘটনার সূত্রপাত হয় এবং সেটাই ।পরবর্তীদের সংঘর্ষের রূপ নেয়। তবে শেষ পর্যন্ত পাত্র কি পরে বিয়ে করেছে, ধুতি পাঞ্জাবী নাকি শেরওয়ানি কিংবা আদৌ ওই বিয়ে হয়েছে কিনা সেটা জানা যায়নি।