কলকাতা: ২৫ নভেম্বর রাজ্যে তিন বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন৷ লোকসভা নির্বাচনের পর এই তিন কেন্দ্রে নির্বাচন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ, ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা সামলে উঠতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অন্যদিকে, বিজেপি হলো চ্যালেঞ্জের৷ ১৮টি আসন দখল করে কড়া চ্যালেঞ্জ করেছে তৃণমূলকে৷ ভোটের ময়দানে বামেদের ‘ঐতিহাসিক হার’ কাটিয়ে উঠতে এবার কংগ্রেস কিছুটা সাহায্য করবে৷ করিমপুরে বাম প্রার্থীকে সমর্থন করবে কংগ্রেস৷ কালিয়াগঞ্জ এবং খড়গপুর কেন্দ্রে বামেরা কংগ্রেসকে সমর্থন করবে৷ করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদরে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে কোন দল কী অবস্থায় রয়েছে তা দেখে নেওয়া যাক৷
করিমপুর: মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় থাকা এই বিধানসভা কেন্দ্রটিতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিচার করলে দেখা যাবে যে, তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির হুমায়ুন কবীরের তুলনায় ১৪৩৪০ ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ আবু তাহের পেয়েছিলেন ৮৭৫১৩ টি ভোট৷ অন্যদিকে, হুমায়ুন কবীর পেয়েছিলেন ৭৩১৭৩ টি ভোট৷ সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান এই কেন্দ্রে মাত্র ১৭৬০৯ টি ভোট পেয়েছিলেন৷ অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী আবু হেনার প্রাপ্ত ভোট ছিল ২২০৯৭ টি৷ সেক্ষেত্রে যদি, কংগ্রেস-বামফ্রন্ট জোট হত, তাহলে তাদের প্রাপ্ত ভোট দাঁড়াত, ৩৯৭০৬টি৷ ওই ভোট নিয়ে তৃণমূল বা বিজেপি প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করার কথা ভাবা যায় না৷
সেক্ষেত্রে এই উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের সম্ভাবনা কম৷ বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর তৃণমূলের মূল লড়াই৷ বিজেপি চাইবে, তাদের ৭৩ হাজার ভোটকে বাড়িয়ে নিয়ে যেতে৷সংখ্যা লঘু অধ্যুষিত এলাকায় গেরুয়া শিবিরের সেরকম সংগঠন না থাকা সত্ত্বেও লোকসভায় তারা ভালো লড়াই করেছে৷
খড়গপুর সদর: বিজেপির পাল্লা ভারী৷ এখানকার বিধায়ক ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তিনি বর্তমানে মেদিনীপুরের সাংসদ৷ দিলীপ ঘোষ লোকসভায় এই আসনে তৃণমূল প্রার্থী মানস ভূঁইয়ার থেকে ৪৫১৩২ ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ সিপিআই এবং কংগ্রেস প্রার্থী কেন্দ্রে ৮০০০ করে, ১৬০০০ এর একটু বেশি ভোট পেয়েছিলেন৷ এই এই কেন্দ্রে তৃণমূল, বাম-কংগ্রেস প্রার্থীর কোনও ভবিষ্যৎ নেই বললেই চলে৷
কালিয়াগঞ্জ: এই কেন্দ্র রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত৷ বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এই কেন্দ্র থেকে নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের থেকে ৫৬৭৬২ ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাসমুন্সী ১৮৫৬১টি এবং সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ১৯২৪০ টি ভোট পেয়েছিলেন৷ স্বাভাবিক ভাবেই এই কেন্দ্রে বিজেপি লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে৷