নয়াদিল্লি: সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। শুক্রবার পাটনা হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা হল সাহারা ইন্ডিয়ার কর্ণধার সুব্রত রায়ের। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এরপরেই পাটনা হাইকোর্ট দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, বিহারের ডিজিপিকে সুব্রত রায়কে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ মে ধার্য করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
একদিন আগেই সাহারা ইন্ডিয়ার কর্ণধার সুব্রত রায়ের আইনজীবীকে কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করে পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি। বৃহস্পতিবারই সুব্রত রায়ের শেষ আবেদন খারিজ করে দেয় পাটনা আদালত। আদালতের তরফে জানানো হয়, যে কোনও মূল্যে ১৩ মে হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে সাহারা ইন্ডিয়ার কর্ণধার সুব্রত রায়কে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে তাঁকে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওযা হয়েছিল।
পাটনা আদালতের বিচারপতি বলেন, সুব্রত রায় আইনের ঊর্ধ্বে নয়। যে কোনও পরিস্থিতিতে তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। হাজিরা না দিলে সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও পাটনা হাইকোর্টের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের তরফে সুব্রত রায়ের নিরাপত্তার সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। যাতে তাঁর সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে কোনও অসুবিধা না হয়। তারপরেও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন সুব্রত রায়। এর জেরেই সুব্রত রায়কে গ্রেফতারের নির্দেশ দেয় পাটনা আদালত।
২০০২ সালে সেবির তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়েছিল, সাহারা গ্রুপ অফ কোম্পানিজ বেআইনিভাবে বাজার থেকে ৩৫০ কোটি টাকা তুলেছে। সেই সময় সাহারা ইন্ডিয়াকে ২৫ হাজার ৭০০ কোটির দেনা মেটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা মেটানো হয়নি। যা সুদে আসলে বেড়ে ৬২ হাজার ৬০০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। সেবির তরফে দাবি করা হয়েছে, দেনা মেটাতে না পারলে সুব্রত রায়কে আবার জেলে ফেরত পাঠানো হোক।