আগরতলা: ত্রিপুরার রাজনীতিতে নয়া মোড়। শনিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিপ্লব দেব। ইতিমধ্যে তিনি রাজ্যপালের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। শনিবারই ত্রিপুরায় নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা হবে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু বিপ্লব দেব হঠাৎ কেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন বিপ্লব দেব। তিনি জানিয়েছেন, শীর্ষ নেতাদের নির্দেশেই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সংগঠন থাকলেই তবে সরকার থাকবেন। তিনি বেশি করে সংগঠনের কাজ করার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আশা করছি আমায় যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তা পালন করতে সক্ষম হয়েছি। ত্রিপুরার মানুষের সঙ্গে ন্যায় করেছি। এতদিন ত্রিপুরার সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করেছি। সামনেই ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। এখানে দল যেভাবে চাইবে, সেইভাবেই কাজ করব। আমরা চাইছি লম্বা সময় ধরে ত্রিপুরার সরকারে থাকুক বিজেপি। আর দীর্ঘ সময় ত্রিপুরার সরকারে বিজেপিকে রাখতে গেলে দলে আমার মতো সংগঠকের প্রয়োজন।’
জানা গিয়েছে, একদিন আগেই বিপ্লব দেব দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, সেই সময়ই তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব ও বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাওদেকে বিজেপির বিধানসভা বৈঠকের পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। শনিবার বিজেপির বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে।
বিপ্লব দেবের পদত্যাগে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে। ট্যুইটারে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে, ‘ত্রিপুরার হাজার হাজার মানুষকে ন্যায় বিচার দিতে ব্যর্থ হয়ে পদত্যাগ করেছেন বিপ্লব দেব। এতদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের অনেকটা ক্ষতি করে দিয়েছেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায়। রাজ্যের মানুষ বিজেপির অক্ষমতায় বিরক্ত।’ পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস ট্যুইটারে লিখেছে, ‘রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস আসাতে যথেষ্ট ভয় পেয়েছে বিজেপি। ত্রিপুরায় পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী।’