বোলপুর: বিশ্বভারতীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রতিবাদ জানালেন পড়ুয়ারা৷ আজ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পড়ুয়াদের একাংশ৷
আজ বিশ্বভারতী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছেন রাষ্ট্রপতি রাজ্যপাল৷ কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন রয়েছে গোটা বিশ্বভারতী চত্বরে৷ কিন্তু, সেই নিরাপত্তা বজ্র আঁটুনি উপেক্ষা করে আজ রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের সামনেই পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়াদের একাংশ৷ তাঁদের দাবি, কোনভাবেই বিশ্বভারতীর ভেতরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না৷ শান্ত বিশ্বভারতীতে এভাবে কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করে কবিগুরুর স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানের মান ক্ষুন্ন করা চলবে না৷ আর তারই প্রতিবাদে আজ বিশ্বভারতী চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন বাম ছাত্র সংগঠনের৷
নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এবার বিশ্বভারতীর শিক্ষা প্রাঙ্গণ শাসন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর৷
@MamataOfficial. On a morning walk with the Hon’ble President of India at Shanti Niketan in authentic serene environment. A memorable moment as greatly touched by his grace, humility and unassuming nature. pic.twitter.com/sdfnF1IqR7
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 11, 2019
It is indeed my privilege to be here at Santiniketan.
This is one of those blessed sites that reimagined our civilizational values that define India.
This is the place that infused new energy in our national life: President Kovind
— President of India (@rashtrapatibhvn) November 11, 2019
সূত্রের খবর, অনান্য কেন্দ্রীয় সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তরফেও একই অনুরোধ করা হয়েছিল৷ যার মধ্যে ছিল বেশ কিছু আইআইটি কলেজ রয়েছে৷ কিন্তু বিপুল খরচের কথা শুনে পিছিয়ে যান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি৷ কারণ, সিআইএসএফ জওয়ানদের খরচ ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই বহন করতে হয়৷ জানা গিয়েছে, একজন আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানকে মোতায়েন করতে গেলে মাথা পিছু খরচ হয় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা৷ তাঁদের বেতন, থাকা-খাওয়া সবকিছুরই খরচ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দিতে হয়৷
জানা গিয়েছে ইউজিসি’র কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক সাহায্য থেকে বিশ্বভারতী এই খরচ বহন করবে৷ সিআইএসএফ সূত্রে খবর, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছ থেকে পাওয়া অনুরোধের বিষয়টি তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানানো হয়৷ সেখান থেকে অনুমোদন পাওয়ার পর তারা বিশ্বভারতীতে গিয়ে দেখবেন সেখানে নিরাপত্তার জন্য কতজন জওয়ান প্রয়োজন৷ এরপর সেখান থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর জওয়ানরা নিরাপত্তার কাজে যোগ দেবেন৷
বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সেনা নিয়োগ করার কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, বেসরকারি রক্ষীরা নিজেদের কাজ সঠিকভাবে করছেন না৷ তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ যখন কোনও তা বড় রূপ নেয় তখন তাঁরা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন৷ আর সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত৷