২০৩০ সালের মধ্যে অনাহারের মুখে পড়বেন ৯ কোটি ভারতী, দাবি রিপোর্টের

২০৩০ সালের মধ্যে অনাহারের মুখে পড়বেন ৯ কোটি ভারতী, দাবি রিপোর্টের

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি আন্তর্জাতিক খাদ্য নীতি গবেষণা কেন্দ্রের বৈশ্বিক খাদ্য নীতি রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও ২৩ শতাংশ ভারতীয়কে অনাহারের মুখে পড়তে হবে। গত কয়েক বছর ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের ধারা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একদিকে পশ্চিম ভারতে একের পর এক তাপপ্রবাহ চলছে। সেই সময় উত্তর-পূর্ব ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। অসমে বন্যার জেরে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, দিন যত যাবে, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। 

রিপোর্টে জানানো হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে দেশে ৯০৬ কোটি বাসিন্দা আনাহারে মুখে পড়তে পারে। খাদ্য উৎপাদনের পরিমাপ মাপা হয় এগ্রিগেট ফুড প্রডাকশন সূচক দিয়ে। এর আওতায় ফল, সবজি, ডিম, মাংস ও খাদ্যশষ্য রয়েছে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এই সূচকের থাকার কথা ১.৬২৭ পয়েন্টে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এই সূচক নেমে যাবে ১.৫ পয়েন্টে। যার জেরে ২৩ শতাংশ ভারতবাসীর ২০৩০ সালের  মধ্যে অনাহারের থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। 

গবেষকরা জানিয়েছেন, গড় তাপমাত্রার বৃদ্ধির প্রভাব পড়তে চলেছে কৃষি দ্রব্য উৎপাদনে। ক্ষতিগ্রস্থ হতে চলেছে ভারতের কৃষি উৎপাদন। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০৪০ সালের মধ্যে ভারতে কৃষিজ পণ্য উৎপাদন ১.৫ থেকে ৬.৬ শতাংশ কমে যেতে পারে। আবার ২০৬১ থেকে ২০৮০ সালের মধ্যে কৃষিজ উৎপাদন ৭.২ শতাংশ থেকে ২৩.৬ শতাংশ কমে যেতে পারে। সেই সময় দেশ জুড়ে খাবারের জন্য হাহাকার দেখা দিতে পারে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। 

জলবায়ু পরিবর্তনে সরাসরি প্রভাব এবার মানুষের ওপর পড়তে শুরু করেছে। তবে ইতিমধ্যে বেশ কিছু দেশ জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এত সহজে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করা সম্ভব হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কঠোর থেকে কঠোরতর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *