পতিয়ালা: অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট এক বছরের জেল হাজতের সাজা শুনিয়েছে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজোৎ সিং সিধুকে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে শুক্রবার সাতসকালেী পটিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন বিতর্কিত কংগ্রেস নেতা সিধু। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পরেই শুক্রবার সকালে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা তথা কংগ্রেস নেতা সিধুর আত্মসমর্পণের সম্ভাবনা ছিল। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই শুক্রবার সকাল থেকেই সিধুর পটিয়ালার বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেন তাঁর নেতাকর্মী এবং অনুরাগীরা। তাঁদের সকলের সঙ্গে কথা বলে এবং অনুরাগীদের বিদায় জানিয়ে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিধু।
১৯৮৮ সালে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোকে কেন্দ্র করে গুরনাম সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন নভজোৎ সিং সিধু। পরে পরিস্থিতি হাতাহাতিতে পৌঁছালে সিধু ওই ব্যক্তির মাথায় আঘাত করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় গুরনামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান। তখনই সিধুর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট সিধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ খারিজ করলেও বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর অপরাধে তাঁকে সাজা শুনিয়েছে। আদালতে সিধুর আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন, তদন্তে প্রমাণ হয়নি যে গুরণামকে মারধর করার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্তেও হার্ট অ্যাটাকের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। আর তাই সেই কারণেই সিধুকে খুনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি এম খানউইলকর এবং বিচারপতি এসকে কৌলের ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থকে বলা হয়, খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে গুরণামের উপর চড়াও না হলেও সিধুর সঙ্গে হাতাহাতি-মারামারিতেই আচমকা মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। সেই কারণেই এই ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা যেতে পারে। তবে এটা যে গুরুতর একটা অপরাধ তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আর সেই অপরাধকে গুরুত্ব দিয়েই প্রাক্তন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে এক বছরের সাজার পাশাপাশি এক হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য করা হয়।