গুয়াহাটি: অসমে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হতে শুরু করেছে। প্রবল বন্যায় অসমের প্রায় ছয় লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অসমের ২৭টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। কেন্দ্র থেকে বন্যা কবলিম অসমকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
অসমে ১৩৫টি ত্রাণ শিবিরে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে১১৩টি ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার খোলা হয়েছে। অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, নগাঁও জেলায় প্রায় ২.৮৮ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। কাছড়ে জেলায় ১.১৯ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। দারংয়ে ৬০ হাজার ৫৬২ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। হাজাংয়ে সেই পরিমান ১.০৭ লক্ষ। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, বন্যা-বিধ্বস্ত জেলাগুলিতে ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অসমের বন্যায় সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ডিমা হাসাও। এছাড়াও যেসমস্ত জেলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তার রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে। অন্যদিকে, রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী জানিয়েছে, প্রবল বর্ষণ ও বন্যা পরিস্থিতির জেরে রাজ্যের কয়েক হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কয়েক লক্ষ বিঘা চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। নিউ হাফলংয়ে প্রবল বর্ষণ ও ভূমি ধসের জেরে রেল লাইনে ধস নামে। প্রায় ২৮০০ জন যাত্রী আটকে পড়েন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সাহায্যে তাঁদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ডিমা হাসাও জেলায় লুমডিং শাখায় দুটি ট্রেন আটকে পড়েছিল।