নয়াদিল্লি: হায়দরাবাদে মহিলা চিকিৎসককে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। ঘটনার সিরপুরকার রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অভিযুক্তদের মৃত্যু নিশ্চিত করতেই গুলি করা হয়েছিল। পরিকল্পনা করে খুন করে এনকাউন্টারে যু্ক্তি সাজানো হয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টের গঠন করা কমিটির সিরপুরকার রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে তেলেঙ্গানায় সামশাবাদের কাছে এক মহিলা চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়। ওই মহিলা চিকিৎসককে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার নারকীয়তায় সারা দেশ কেঁপে উঠেছিল। প্রথমে পুলিশ তদন্তে গড়িমশি করে। কিন্তু পরে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সেই সময় দাবি করে, জেরায় ওই চার যুবক নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে। সামশাবাদের কাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনার পুনর্নির্মাণের সময় চার অভিযুক্ত পুলিশের বন্দুক ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় পুলিশের গুলিতে অভিযুক্ত চার জনের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশের দাবি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। অভিযোগ উঠতে থাকে, গোটা ঘটনাই সাজানো। পুলিশ পরিকল্পনা করে চার জন অভিযুক্তকে খুন করেছে। সেই অভিযোগককে কার্যত সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা কমিটির সিরপুরকার রিপোর্টে। রিপোর্টে কমিশন জানিয়েছে, আমাদের মনে হয়, অভিযুক্তদের মৃত্যু করতে গুলি চালানো হয়েছিল। এনকাউন্টার আসলে সাজানো ঘটনা। এরপরেই শীর্ষ আদালত তেলেঙ্গানা হাইকোর্টকে এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়।
পুলিশ রিপোর্টে জানা যায়, হায়দরাবাদের ওই তরুণী চিকিৎসক সামশাবাদের কাছে একটা টোলপ্লাজার সামনে স্কুটি রেখে ত্বকের চিকিৎসকের কাছে যান। সেখান থেকে ফিরে দেখেন স্কুটির টায়ার পাংচার। তাঁর বোনের সঙ্গে শেষবারের মতো যোগাযোগ করেছিলেন। সেখানে তিনি বোনকে বলেন, ভয় লাগছে। কয়েকজন পিছু নিয়েছে। তারপর থেকে ওই তরুণীর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজির পর তরুণীর পর থানায় ডায়েরি করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে পরের দিন তরুণীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে।