মুম্বই: জামিন আগেই পেয়ে গিয়েছিলেন শিনা বরা হত্যার মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার তিনি জেল থেকে ছাড়া পেলেন। প্রায় সাত বছর পর বাইকুল্লা মহিলা সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আমি খুব খুশি। অতীতে তাঁর জামিনের আবেদন একাধিকবার খারিজ হয়েছে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় এই ঘটনায় ইতিমধ্যে সাড়ে ছয় বছর জেল খেটেছেন। এই মামলা এত তাড়াতাড়ি মিটবে না। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত পিটার মুখোপাধ্যায় ইতিমধ্যে জামিন পেয়েছেন। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে জামিন দিয়েছিল।
২০১২ সালে নিখোঁজ হয়ে যান শিনা বরা। জানা যায়, শিনা বরা ও তাঁর দাদা মিখাইল বরা তাঁদের দাদু দিদার কাছে বড় হন। সেখানেই থাকতেন। ২০১৫ সালে শিনা বরা হত্যার ঘটনা সামনে আসে। তারপরে সারা দেশে চাঞ্চল্য পড়ে যায়। প্রথম থেকেই ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় জানান, শিনাকে তিনি পড়তে বিদেশে পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়ের ড্রাইভার গ্রেফতার হওয়ার পরে সমস্ত ঘটনা সামনে আসে।
সিবিআই ঘটনার তদন্ত শুরপ করার পর একের পর এক রোমাঞ্চকর তথ্য সামনে আসতে থাকে। কীভাবে ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় ক্ষমতাশালী হয়ে ওঠেন সেই খবর প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, পিটার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ইন্দ্রানীর বিয়ে হওয়ার পর শিনা দেখা করতে আসেন। সেই সময় ইন্দ্রাণী শিনাকে নিজের বোন হিসেবে পরিচয় দেয়। ধীরে ধীরে পিটারের ছেলে রাহুলের সঙ্গে শিনার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় জেরার মুখে প্রথমে বলেছিলেন, শিনা বিদেশে পড়তে গিয়েছেন। কিন্তু পরে দাবি করেন, শিনা বেঁচে আছেন। কিন্তু এই সাড়ে ছয় বছরে শিনার কোনও খবর তিনি দিতে পারেননি। অভিযোগ উঠতে থাকে সঞ্জয় খান্না নামে। উনি ইন্দ্রানীর প্রথম স্বামী। পাশাপাশি পিটার মুখোপাধ্যায়ের নামে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, শিনাকে অপহরণের ছক কষেছিলেন। অন্যদিকে, ২০১৮ সালে ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় জেলে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে শুক্রবার জেল থেকে জামিনে মুক্তি পান ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।