নয়াদিল্লি: আর্থিক বৈষম্যের নাগপাশে দেশ৷ এক শ্রেণির মানুষের হাতে যখন অগাধ অর্থ৷ তখন খিদের জ্বালায় জ্বলছে দরিদ্রের পেট৷ দেশের ১৫ শতাংশ নাগরিকের রোজগার নেমেছে ৫ হাজারের নীচে৷ দেশের জাতীয় আয়ের ২২ শতাংশ রয়েছে মাত্র ১ শতাংশ জনগণের হাতে৷ ক্রমবর্ধমান এই আর্থিক বৈষম্যে চিন্তায় অর্থনীতিবিদরা৷ বেড়ে চলা দারিদ্র প্রভাব ফেলেছে মানুষের জীবনে৷ বাড়ছে বেকারত্ব, কমছে রোজগার৷ তবে কি আর্থিক মন্দার পথে দেশ?
আরও পড়ুন- ফের এক লাফে বাড়ল দেশের কোভিড গ্রাফ, অ্যাকটিভ কেসেও বৃদ্ধি
আর্থিক বৈষম্য নিয়ে চমকে দেওয়ার মতো রিপোর্ট প্রকাশ করেছে বিশ্ব বৈষম্য রিপোর্ট৷ ওই রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে বৈষম্যের ছাপ৷ রিপোর্ট বলছে, ভারতের অবস্থা মোটেই ভালো নয়৷ আর্থিকভাবে দুর্বল দেশে রয়েছে প্রবল বৈষম্য৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, আর্থিক রোজগারের ভিত্তিতে দেশের ১০% মানুষের হাতে রয়েছে ৫৭% সম্পদ। অন্যদিকে, দেশের একদম তলার দিকে থাকে ৫০% নাগরিকের হাতে রয়েছে জাতীয় আয়ের মাত্র ১৩%। দেশের ১৫% মানুষের আয়ই ৫,০০০ টাকার কম।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দেশে যে সকল নাগরিকের রোজগার ২৫ হাজার টাকা বা বার্ষিক আয় ৩ লক্ষ টাকার সমান, মোট আয়ের ভিত্তিতে তাঁরা রয়েছেন দেশের সেরা ১০% এর মধ্যে৷ দেশের সবচেয়ে ধনী বা সমাজের ক্রিমি লেয়ারের হাতে রয়েছে ৫৭ শতাংশ সম্পদ৷ প্রদীপের আলো যতটাই সুন্দর, প্রদীপের তলায় অন্ধকার ততটাই গাঢ়৷ দেশের এক শ্রেণির মানুষের হাতে টাকা নেই৷ বন্ধ রোজগারের পথ৷ অতিমারি পরিস্থিতি আরও বেশি করে বদলে দিয়েছে জীবন৷
দেশে বেড়ে চলা বেকারত্ব নিয়ে বারবার মোদী সরকারকে নিশানা করেছে আর্থিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। বিশ্বব্যাঙ্কের তালিকা অনুযায়ী বেকারত্বের নিরিখে বিশ্বে প্রথম পাঁচে রয়েছে ভারত৷ সে কথা আগেই বলেছিলেন কৌশিক বসু। বাস্তব সমস্যাটা আরও গভীর৷ অনেক সময় কিছু কাজ থাকলেও হাতে টাকা নেই অধিকাংশেরই। ২০১৯-২০ সালে দেশের ৪৫.৭৮ শতাংশ মানুষ ছিল স্ব-নির্ভর পেশার সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ সেল্ফ-এম্পলয়েড৷ এই স্ব-নির্ভর অংশকে বাদ দিয়ে পড়ে থাকে স্যালারিড ক্লাস৷ তাঁদের পরিমাণ ৩৩.৫%। ক্যাসুয়াল ওয়ার্কার ২০.৭১%। আজকের দিনে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়েছে এই সেল্ফ এমপ্লয়েড অংশই৷ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের হিসাবে এই অংশের ১০ ভাগের এক ভাগ ঢুকে পড়েছে বেকারত্বের তালিকায়৷ পরিস্থিতি সত্যিই কঠিন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>