উপ-নির্বাচনের সব বুথে থাকছে না বাহিনী, ফের বিদ্রোহ ভোট-কর্মীদের

কলকাতা: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা৷ তারপর বাংলার তিন কেন্দ্রের ভোটাররা দাঁড়াবেন ভোটের লাইনে৷ চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ ভোটযন্ত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই বুথে বুথে রওনা হয়ে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা৷ পুরসভা নির্বাচনের আগে খড়গপুর সদর, করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচন কার্যত গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ শাসক-বিরোধ শিবিরের৷ তিন উপনির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও উৎসাহ থাকলেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না

উপ-নির্বাচনের সব বুথে থাকছে না বাহিনী, ফের বিদ্রোহ ভোট-কর্মীদের

কলকাতা: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা৷ তারপর বাংলার তিন কেন্দ্রের ভোটাররা দাঁড়াবেন ভোটের লাইনে৷ চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি৷ ভোটযন্ত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই বুথে বুথে রওনা হয়ে গিয়েছেন ভোটকর্মীরা৷ পুরসভা নির্বাচনের আগে খড়গপুর সদর, করিমপুর, কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচন কার্যত গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচ শাসক-বিরোধ শিবিরের৷ তিন উপনির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক মহলেও উৎসাহ থাকলেও ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না পেয়ে নিরাপত্তা ইস্যুতে ফের ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে ভোটকর্মীদের মধ্যে৷

কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, করিমপুরে ৯৭ শতাংশ বুথে আধাসেনা থাকবে৷ খড়গপুর সদর কেন্দ্রের উপনির্বাচনে থাকবে ৬৭ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ কালিয়াগঞ্জে থাকবে ৪০ শতাংশ৷ মোট ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আনিয়ে ভোট করানো হবে৷

কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে এই সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন ঘিরে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ভোট কর্মীদের একাংশ৷ প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করা হলেও বিধানসভার তিন কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তা না মেলায় ফের ভোট কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ৷

এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘সোমবার রাজ্যের তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচন৷ ভোট কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি জানিয়েছিলাম৷ গত ১৪ নভেম্বর কলকাতায় মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে ও গত ১১ নভেম্বর খড়্গপুর মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে এসেছিলাম৷

খড়্গপুরের মহকুমা শাসক কথা দিয়েছিলেন, প্রায় প্রতিটি বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি বুথে ১০০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে না৷ খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৭০টি বুথের মধ্যে ৬৬টি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না৷ আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় যদি কোনও বুথে ভোট কর্মীর গায়ে একবিন্দুও আঁচড় পড়ে, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে নির্বাচন কমিশন৷ আমরা চাই, ভোট কর্মীরা যাতে নিরাপদে সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে পারে, তা ব্যবস্থা করা৷ ভোটকর্মীরা মানসিক কিংবা শারীরিক ভাবে হেনস্থার শিকার হলে আমরা কোনও ভাবেই তা মেনে নেব না৷ তীব্র প্রতিবাদ হবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *