উদ্বাস্তুদের নাগরিক অধিকার নিতে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: এনআরসি আতঙ্ক বাড়তেই এবার তড়িঘড়ি কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ হাজার উদ্বাস্তু মানুষের জমি-বাড়ি সম্পত্তির অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোশণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নাগরিকত্ব থেকে শুরু করে সরকারি জমি দখলে রাখা বাসিন্দাদের জমির অধিকার ও নাগরিকত্ব প্রমাণের সমস্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা৷ আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ রাজ্য মন্ত্রিসভায়

46d522d99e3ce6a53316fc14aa8a3309

উদ্বাস্তুদের নাগরিক অধিকার নিতে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: এনআরসি আতঙ্ক বাড়তেই এবার তড়িঘড়ি কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ হাজার উদ্বাস্তু মানুষের জমি-বাড়ি সম্পত্তির অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোশণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নাগরিকত্ব থেকে শুরু করে সরকারি জমি দখলে রাখা বাসিন্দাদের জমির অধিকার ও নাগরিকত্ব প্রমাণের সমস্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা৷

আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার দু’টি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ রাজ্য মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ আমরা আগেই জানেন ৯৪ উদ্বাস্তু কলোনিকে রেগুলারাইজ করবো বলেছিলাম৷ কিন্তু বারবার করে ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট চেষ্টা করছে কথা বলার৷ আমরা সুপারিশ করেছি অনেকবার৷ কেউ কোনও খেয়ালই করে না৷ উপরন্তু দখল করার চিঠি দিয়ে দেয়৷ আমারা বলছি, যেখানে অনেক উদ্বাস্তু বসে আছেন, প্রথম থেকেই৷ কিন্তু যাদের সমস্যা হচ্ছে, তারা না ঘরকা না ঘাটকা হয়ে রয়েছেন৷ কিন্তু আমরা বারবার বলছি৷ এগুলিকে ওঁদের আধিপত্য দেওয়া উচিত৷’’

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘মাঝে মাঝে চিঠি দিয়ে এই রিফিউজিদের পুরো উচ্ছেদ করার জন্য বারবার নোটিশ দিচ্ছে৷ ফলে যারা বাংলায় দীর্ঘদিন আছেন সেই শরণার্থীরা তাদের সমস্যা হচ্ছে৷ তাই আমরা মন্ত্রিসভায় একটা প্রস্তাব পাশ করেছি, সব মিলিয়ে প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ৭০ হাজার মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিচ্ছি৷’’

আরও বলেন, ‘‘দ্বিতীয় হচ্ছে, ভারত সরকার ও কিছু বেসরকারি জমিতে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বাস্তু হয়ে এখানে বসে আছেন৷ ফলে যারা সশরীরে দখল করে রেখেছেন তাঁদের, সেই জমির প্রায় ৫৫ হাজার পরিবার হয়কে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে৷ ৩ একর পর্যন্ত জমি আছে, সেইগুলো আমরা টোটাল তাদের মালিকানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ প্রায় প্রায় ৪৮ বছর যারা এখানে পড়ে আছেন, আমি মনে করি সেই উদ্বাস্তুদের নিজস্ব অধিকার দেওয়া৷’’

বলেন, ‘‘এমনিতেই নিয়ম আছে ১২ বছর কোন জায়গায় থাকলে সেখানকার অধিকার জন্মায়৷ তার ফলে দীর্ঘদিন হয়ে গেছে, অথচ কিছুই পান না৷ একটা নাগরিকত্ব পায় না৷ এটা করে দেওয়ার ফলে যারা দীর্ঘদিন ধরে উদ্বাস্তু মানুষরা এপার বাংলায় আছেন তাদের একটা জমির অধিকার, বাড়ি অধিকার, জীবিকার অধিকার, সর্বোপরি বাংলার নাগরিকদের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সবকিছুই করা যাবে৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *