কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলে বিজেপিকে তিন গোল মেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গেরুয়া শিবিরের ঔদ্ধত্যের কথা বলেছেন। মমতা বলেছেন, বাংলার মানুষ বিজেপির ঔদ্ধত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী ভালোই জানেন, এই অভিযোগে শুধু দিলীপ ঘোষেদেরই দুষ্ট করা সমীচীন নয়।
তাঁর নিজের দলেও এই রোগ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধেও যে এই অভিযোগ ওঠেনি তা নয়। কিন্তু, এই ঔদ্ধত্য নিয়ে সাধারণ ভোটার ভাবিত নয়। তিনি বা তাঁর পার্টি যদি মানুষের মনে আঘাত না দেন, তবে তৃণমূল এই সাফল্য ২০২১ সালেও ধরে রাখতে পারবে।
তৃণমূল জিতেছে। বিজেপি হেরেছে, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ ভোটের হিসাব। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করলে বিজেপির ভোট কমেছে।
খড়গপুর সদর, কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুরে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় কম ভোট পেয়েছে। কিন্তু, যদি ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন বিচার করা যায় তবে দেখা যাবে বিজেপির ভোট কমেনি। বরং বেড়েছে। ভোট যদি কমে থাকে তবে বাম-কংগ্রেস জোটের ভোট কমেছে। উপনির্বাচনে এই আসন তিনটিতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফল বিচার করে হিসাব করলে , একমাত্র খড়গপুর সদর বাদে বাকি দুটি কেন্দ্রে বাম-কংগ্রেসের ভোট কমেছে।
আবার, তিনটি আসনে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন তুলনায় আনলে, খড়গপুর সদরেই বিজেপির ভোট কমেছে। বাকি দুটিতে ভোট বেড়েছে প্রায় তিন গুণ।
ঔদ্ধত্য শব্দটি যদি আলোচনা করতে হয় তবে এই কয়েকদিনে বিজেপি বাংলায় এন আর সি নিয়ে যা দেখিয়ে তা উল্লেখ করতেই হয়।
অমিত শাহ পুজোর সময় বাংলায় এসে এন আর সি – নিয়ে যা বলে গিয়েছেন তাকে আতঙ্কের আকারে প্রচার করতে সমর্থ হয়েছে তৃণমূল। উপরন্তু বিজেপি নেতাদের এন আর সি-নিয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ হুমকি বুঝিয়ে দিয়েছে, এই শব্দের মালিকানা শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই নেই, ভাগীদার গেরুয়া শিবিরও।