করোনায় অনাথদের পাশে মোদি সরকার, স্কলারশিপের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

করোনায় অনাথদের পাশে মোদি সরকার, স্কলারশিপের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: গত দু’বছর ধরে চলা করোনা মহামারীর জেরে ইতিমধ্যে ধ্বংস হয়েছে বহু পরিবার। বাবা-মা, এমনকি পরিবারের সব সদস্যদের হারিয়ে অনাথ হয়েছেন কয়েক লাখ শিশু। সম্প্রতি ল্যানসেটের একটি সমীক্ষায় ধরা পড়েছিল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। এরপরেই এই সমস্ত স্বজনহারা শিশুদের কি ভবিষ্যৎ হবে সেই চিন্তা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল বিশেষজ্ঞ মহল। এক্ষেত্রে তাদের জীবন ধারণের উৎস কী হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল খোদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। আর তাই এবার করোনার কারণে অনাথ হওয়া শিশুদের প্রতিকূলতার হাত থেকে রক্ষা করতে বড়োসড়ো পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। জানা যাচ্ছে আগামীকাল অর্থাৎ ৩০ মেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা করবেন, করোনার কারণে অনাথ শিশুদের বেড়ে ওঠার পথের কাঁটা যাতে অর্থকষ্ট না হয় সেজন্য এই সমস্ত শিশুদের বিশেষ স্কলারশিপ প্রদান করবে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার বিজেপির ন্যাশনাল জেনারেল সেক্রেটারি অরুণ সিং জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর জন্য যে শিশুরা অনাথ হয়েছে তাদের আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

উল্লেখ্য, ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনার কারণে কতগুলি পরিবার ধ্বংস হয়েছে তার ওপর একটি সমীক্ষা চালায় ল্যানসেট। সেই সমীক্ষার রিপোর্টেই দেখা যায় করোনার প্রাদুর্ভাবের প্রথম কুড়ি মাসের মধ্যে প্রায় ১৯ লক্ষ শিশু তাদের বাবা-মা হারিয়ে অনাথ হয়েছে। এই সমস্ত স্বজনহারা শিশুদের পাশে দাঁড়াতেই এবারেই উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও ল্যানসেটের দেওয়া তথ্য এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তথ্যের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস তথা NCPCR- এর তথ্য অনুযায়ী করোনার কারণে ভারতে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত এক লক্ষ ৫৩ হাজার শিশু অনাথ হয়েছে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই সমস্ত শিশুদেরই স্কলারশিপ দেবে প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য মোদি সরকারের অষ্টম বর্ষ পুর্তি উপলক্ষে একাধিক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে বিজেপি। এর মধ্যে অন্যতম হল করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার তথা অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানো। ইতিমধ্যেই করোনার কারণে যে সমস্ত শিশুদের মাথার উপর থেকে সরছে বাবা-মায়ের ছায়া তাদের জন্য একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেছে নরেন্দ্র মোদি। এবার তাদের পড়াশোনা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দায়িত্বও কেন্দ্র নিজের কাঁধে তুলে নিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 2 =