ধর্মীয় প্রার্থনাস্থল আইনের সংশোধন চেয়ে ফের মামলা সুপ্রিম কোর্টে

ধর্মীয় প্রার্থনাস্থল আইনের সংশোধন চেয়ে ফের মামলা সুপ্রিম কোর্টে

0feaf4c2ad9cb9aae9f66ea5e14d12c7

নয়াদিল্লি: ১৯৯১ সালের ধর্মীয় পার্থনাস্থল আইনের সংশোধন চেয়ে ফের নতুন একটি মামলা দায়ের হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। এই নিয়ে পরপর তিনবার এই আইনের সংশোধন চেয়ে মামলা হল দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। একদিকে যখন দেশের একাধিক মসজিদ এবং ঐতিহাসিক ভাস্কর্যের স্থানগুলিকে কেন্দ্র করে বাড়ছে ধর্মীয় জটিলতা, ঠিক তখনই ধর্মীয় প্রার্থনাস্থল আইনের সংশোধন চেয়ে একের পর এক দাবি জমা পড়ছে সুপ্রিমকোর্টে। শনিবার মথুরার এক ধর্মগুরু দ্বারকানাথ ঠাকুরের পক্ষ থেকে এই পার্থনা আইনের সংশোধনের দাবি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে আবার বিজেপি তথা হিন্দু সঙ্ঘ পরিবারের পক্ষ থেকেও রাজনৈতিকভাবে এই আইন বাতিল করার দাবি জানানো হয়েছে। সঙ্গে এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও উঠেছে একাধিক প্রশ্ন।

 জানা যাচ্ছে শনিবারের ওই আবেদনে বলা হয়েছে হিন্দুরা একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। এই আন্দোলনের আওতা থেকে অযোধ্যাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, অথচ মথুরাকে দেওয়া হয়নি। ফলে এই আইনের তাৎপর্যতা নিয়ে ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। মূলত সেই কারণেই এই আইনের সংশোধনের দাবি করেছেন ওই হিন্দু ধর্মগুরু।

 প্রসঙ্গত গত বছর থেকে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ হওয়ার কাজ শুরু হতেই বারানসি ও মথুরার একাধিক মন্দির ও মসজিদ নিয়ে মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক ধর্মীয় জটিলতা। প্রথমে জ্ঞানবাপী মসজিদ, পরে তাজমহল এবং কুতুবমিনার এর মত ঐতিহাসিক ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করেও উঠেছে এক গুচ্ছ প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত ধর্মীয় স্থানকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক মামলা জমা পড়েছে। একইসঙ্গে দাবি করা হয়েছে ধর্মীয় প্রার্থনা স্থল আইনের সংশোধনের। আবেদনগুলির লক্ষ্য হল যেখানে বিতর্কিত ধর্মস্থান রয়েছে এবং আদালতে মামলা রয়েছে সেখানেই ধর্মীয় প্রার্থনার অধিকার উন্মুক্ত করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে দেশের বিচারব্যবস্থা যেন ধর্মীয় বিশ্বাসের অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায়। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত ধর্মীয় স্থানকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলা চলছে সেই সমস্ত স্থানে যাতে আর কোনও জটিলতা না সৃষ্টি হয় তার জন্য কঠোর পাহারা বসানো হয়েছে আদালতের নির্দেশে। কিন্তু সংঘের দাবি এই সমস্ত প্রহরা সরিয়ে উন্মুক্ত করা হোক ধর্মস্থানগুলি এবং আগামী দিনে এই দাবি নিয়ে যে কাশি ও মথুরা তীর্থস্থানগুলিকে কেন্দ্র করে আরও জোরদার প্রচারে নামতে চলেছে সংঘ পরিবার ক্রমে সেই আভাসও আরও স্পষ্ট হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *