নয়াদিল্লি : রবিবারের থেকে দৈনিক আক্রান্ত এবং করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা কিছুটা কমলেও করোনার ঊর্ধ্বমুখী মৃত্যুহার নিয়ে সোমবার ফের উদ্বেগ বিশেষজ্ঞ মহলে। প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন ধরে করোনার দৈনিক সংক্রমণে উল্লেখযোগ্য পারদ পতনের পর ফের একটু একটু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এবং পজিটিভিটি রেট। যার জেরে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এখনও উদ্বেগে বিশেষজ্ঞ মহল। সোমবার সকালের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশ করা করোনার রিপোর্ট সেই উদ্বেগ জিয়িয়েই রাখল। এদিন সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৭০৭ জন। রবিবারের থেকে বেশ কিছুটা কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার এই সংখ্যাটিই দাঁড়িয়েছিল ২৮২৮-এ।
তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও এদিন এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা বেড়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা। রবিবারের কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪। কিন্তু সোমবার সেটাই বেড়ে হয়েছে ২৫। দেশজুড়ে মৃত এই ২৫ জনের মধ্যে ২৩ জন কেরলের বাসিন্দা, একজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, এবং একজন আমাদের রাজ্যের বাসিন্দা বলে খবর। উল্লেখ্য বেশকিছু সপ্তাহ ধরে মৃত্যুহীন থাকার পর ফের আমাদের রাজ্য বাংলার কোনও বাসিন্দার প্রাণ কাড়ল করোনা।
অন্যদিকে কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে দেশজুড়ে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কিছুটা কমেছে, ঠিক তেমনই কিছুটা বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার হার। গত একদিনে দেশে করোনামুক্ত হয় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০৭০ জন। এই মুহূর্তে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৭৪ শতাংশ এবং পজিটিভিটি রেট ০.৬০ শতাংশ। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে যথাক্রমে কেরল, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। কেরলে গত একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪৬ জন। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৫৫০ এবং ৩৫৭। এরপরেই অবস্থান দক্ষিণের আরও একটি রাজ্য কর্নাটকের। প্রসঙ্গত কর্নাটকেও বেশ কিছুদিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ। সোম সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে দক্ষিণের এই রাজ্যে একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৪১ জন।