এতদিন কি ঘুমাচ্ছিল রাজ্য? কানে জল ঢোকেনি? পাল্টা রাজ্যপাল!

কলকাতা: সপ্তমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত৷ তফশিলি বিলে রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে সঙ্গে সংঘাত৷ রাজ্যের সঙ্গে কী কথা? কেন বিলে অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তা জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে পাল্টা চিঠি রাজ্যপালের৷ আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কড়া প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের৷ বলেন, ‘‘মানুষকে ভুল বোঝবেন না৷ আমাকে কোন সাহায্য করছে না রাজ্য সরকার৷ বিলে অনুমোদন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে নোংরা

7c44dfb85fc95da1b687e7189ec388bd

এতদিন কি ঘুমাচ্ছিল রাজ্য? কানে জল ঢোকেনি? পাল্টা রাজ্যপাল!

কলকাতা: সপ্তমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত৷ তফশিলি বিলে রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে সঙ্গে সংঘাত৷ রাজ্যের সঙ্গে কী কথা? কেন বিলে অনুমোদন দেওয়া হয়নি, তা জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে পাল্টা চিঠি রাজ্যপালের৷
আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে কড়া প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের৷ বলেন, ‘‘মানুষকে ভুল বোঝবেন না৷ আমাকে কোন সাহায্য করছে না রাজ্য সরকার৷ বিলে অনুমোদন না দেওয়াকে কেন্দ্র করে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে৷’’

তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘আমি অপেক্ষা করছিলাম৷ কেউ আসেনি বিল নিয়ে আমাকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি৷ আমার কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনীতি করা হচ্ছে৷ এই সমস্ত চলতে পারে না৷ আমি রাজ্য প্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়েছি, তাতে তাদের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি দিয়েছে৷ এতদিন কেন তাঁরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন৷ এখন হঠাৎ কেন ঘুম ভাঙল তাদের?’’ স্পিকারকে লেখা চিঠির ব্যাখ্যা রাজ্যপালের৷ রাজ্যের জন্যই অনুমোদন দিতে দেরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল৷

রাজ্যপাল তফশিলি বিল আটকে রেখেন বলে সরব তৃণমূল৷ পাল্টা বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি রাজ্যপালের৷ ‘‘২৫ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁদের কানে জল ঢোকেনি?’’ প্রশ্ন রাজ্যপালের৷ বলেন, ‘‘বিলের অনুমোদন নিয়ে নোংরা রাজনীতি করছে৷ আমার কাজ আক্রমণাত্মক নয়, সহ্য করা৷ ২৫ নভেম্বর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত কোনও জবাব মেলেনি৷ আমি অপেক্ষায় ছিলাম৷ এটা কি কোনও ষড়যন্ত্র?’’ প্রশ্ন রাজ্যপালের৷

রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে বেনজির ভাবে বিধানসভার মধ্যেই ধর্না তৃণমূল বিধায়কদের৷ মঙ্গলবার রাজ্যের শাসক দলের বিধায়করা বিধানসভায় আম্বেদকরের মূর্তির নিচে বিক্ষোভ দেখান৷ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধাসভার মধ্যেই শাসকদের বিক্ষোভের নজির বাংলার রাজনীতি আছে কি না, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা৷
তৃণমূলের বিধানসভার মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, রাজ্যপাল বিজেপির কথায় বিধানসভায় বিলপাশ করাতে দিচ্ছেন না৷ চালকি করে রাজ্যের রাজ্যপাল তফশিলি বিলে স্বাক্ষক করছেন না৷ বিলটি আটকে থাকায় রাজ্যের তপশিলিদের ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান নির্মল৷ কেন রাজ্যপাল বিলে স্বাক্ষর করছেন না? এর প্রতিবাদে বিধানসভায় বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল বিধায়করা৷ একই সঙ্গে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে৷

কিন্তু, কেন রাজভবনে আটকে বিল? এর আগে ভবনের জারি করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তফসিলি জাতি-উপজাতি কমিশন বিল ২০১৯, গত ২৯ নভেম্বর রাজভবনে জমা পড়ে৷ ৩ ডিসেম্বর অনগ্রসর শ্রেণীকল্যাণ দপ্তরে সচিবকে চিঠি দিয়ে ওই বিষয়ে বিশদে জানতে চান রাজ্যপাল৷ ২৯ তারিখে নবান্নের তরফে বিলের খসড়া পেয়েই ৩ তারিখে ওই আধিকারিককে ডেকে পাঠান৷ ৩০ নভেম্বর ও পয়লা ডিসেম্বর দু’দিন শনি ও রবিবার পড়ে যাওয়ায় ৩ তারিখ সময় দেওয়া হয়েছিল৷ লিফট, এসকালেটর, ট্রাভেলটর বিষয়ক একটি বিল সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব তাঁকে ব্যাখ্যা দেবেন বলে জানানো হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *