নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে ফের বড় হচ্ছে করোনার কড়াল থাবা। দক্ষিণের রাজ্য কেরলের পর এবার মহারাষ্ট্রেও উল্কার গতিতে ছড়াচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ। ফলে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কাকে উসকে দিয়েই বৃহস্পতিবার ফের দেশজুড়ে এক ধাক্কায় হাজার বাড়ল করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। একইসঙ্গে মহারাষ্ট্র এবং কেরল দেশের এই দুই রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পার করল হাজারের গণ্ডি। বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের রিপোর্ট জানান দিচ্ছে দেশে গত একদিনে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭১২ জন। যার মধ্যে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ১০৮১ এবং দক্ষিণের রাজ্য কেরলের বাসিন্দা ১১৯৭। এই দুই রাজ্যেই মাত্র একদিনে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। আর তার জেরেই দেশের করোনা গ্রাফে এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন।
তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও স্বস্তি দিয়েছে দৈনিক মৃতের সংখ্যা। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে গত একদিন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত পাঁচ জনই কেরলের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রতিদিনের মতো এদিনও বেশ কিছুটা বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার হার। বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে একদিনে করোনা মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৫৮৪ জন। আগের দিনের থেকে অনেকটাই বেড়েছে সুস্থতার হার। তবে একইভাবে দেশের সংক্রমণের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে এই মুহূর্তে দেশের চিকিৎসকদের মাথাব্যথার মূল কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বাণিজ্য নগরী মুম্বই। বুধবার বিকেলে জানা গিয়েছিল একদিনে মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমনের হার ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ শতাংশ। এই মুহূর্তে যেখানে সমগ্র মহারাষ্ট্রে দৈনিক আক্রান্তের মোট সংখ্যা ১০৮১ সেখানে শুধুমাত্র মুম্বইতেই একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে সাতশো মানুষ। এর জেরেই ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে উদ্বেগ, আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই বৃহমুম্বই মিউনিসিপ্যালিটির স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলায় ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। সেইসঙ্গে জানা যাচ্ছে মুম্বইয়ের বিভিন্ন প্রান্তে ১২-১৮ বছর বয়সী এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যে করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ অভিযান চলছে সেই অভিযানের গতি আরও ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।