পাটিয়ালা: পাঞ্জাব সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহারের পরেরদিনই প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করা হয় পাঞ্জাবের প্রখ্যাত গায়ক কথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে। আততায়ীদের ছোঁড়া প্রায় ৩০টি গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় গায়কের গোটা শরীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চাপে পড়েছে পাঞ্জাবের নবগঠিত আপ সরকার। পাঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি নেতা ভগবন্ত মানের নির্দেশেই সিধুসহ পাঞ্জাবের প্রায় ৪২৪ জন ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল। বিরোধীদের মত নিরাপত্তা প্রত্যাহারের কারণেই অকালে চলে যেতে হল জনপ্রিয় এই গায়ককে। আর তাই পরিস্থিতি যাতে আর হাতের বাইরে না বের হয় তার জন্যই বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের ৪২০ জন ভিভিআইপির নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিল আপ সরকার।
উল্লেখ্য কেন পাঞ্জাবের ঐ সমস্ত ভিভিআইপি নিরাপত্তা সংকুচিত করা হয়েছিল ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন তুলেছে পাঞ্জাব হাইকোর্টও। পাঞ্জাবের উচ্চ আদালতের পক্ষ থেকেও সরকারকে এই প্রশ্নের জবাবদিহির নির্দেশ দেওয়া হয় দিন কয়েক আগে, যার উত্তরে আপ সরকার জানিয়েছিল আগামী ৬ জুন অপারেশন ব্লুস্টারের বর্ষ বার্ষিকী। প্রসঙ্গত ঐদিন ১৯৮৪ সালে একদল দুষ্কৃতী পাঞ্জাবের স্বর্ণ মন্দিরের প্রবেশ করে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল। প্রতি বছরই এই সময় সমগ্র পাঞ্জাবের নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়। সেই কারণেই নিরাপত্তা কর্মীর প্রয়োজন ছিল বলে সাময়িকভাবে ওই ৪২৪ জন ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার সংকুচিত করা হয়। হাইকোর্টের এই প্রসঙ্গ টেনে নেই সম্প্রতি আপের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি নেতৃত্বরাও। তাদের দাবি, ‘কেজরিওয়াল এবং মান ব্যক্তিগতভাবে পাঞ্জাবের ভিআইপি কালচারের বিরুদ্ধে। আর তাই রাতারাতি পাঞ্জাবের ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। তাদের আরও দাবি, সরকারের এই ‘সস্তা স্ট্যান্ত’-এর কারণেই পাঞ্জাবীদের একটি মূল্যবান রত্ন এইভাবে চলে গেল। পাঞ্জাবের যুবকরা কখনই আপের নেতাদের এই কারণে ক্ষমা করবেন না।’