রাজ্যেপালের টুইট: আরও তলানিতে রাজভবন-নবান্ন ‘সম্পর্ক’!

কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য প্রশাসনের সম্পর্ক অধগামীতার নতুন সীমা অতিক্রম করেছে৷ যদিও শুরু থেকেই রাজ্যপাল ধনখর এবং নবান্নের সম্পর্ক উর্ধমুখী ছিল তা বুক বাজিয়ে বলা যায় না৷ কিন্তু, রাজ্যপালের বারংবার টুইট-হানা এবং মুখ্যমন্ত্রীর খোলাখুলি বার্তা যে, রাজ্যপাল বিজেপির লোক, সম্পর্কের অধগামিতাকেই প্রতিষ্ঠা করেছে৷ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে টুইট করতে

রাজ্যেপালের টুইট: আরও তলানিতে রাজভবন-নবান্ন ‘সম্পর্ক’!

কলকাতা: রাজ্যপাল জগদীপ ধনখরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য প্রশাসনের সম্পর্ক অধগামীতার নতুন সীমা অতিক্রম করেছে৷ যদিও শুরু থেকেই রাজ্যপাল ধনখর এবং নবান্নের সম্পর্ক উর্ধমুখী ছিল তা বুক বাজিয়ে বলা যায় না৷ কিন্তু, রাজ্যপালের বারংবার টুইট-হানা এবং মুখ্যমন্ত্রীর খোলাখুলি বার্তা যে, রাজ্যপাল বিজেপির লোক, সম্পর্কের অধগামিতাকেই প্রতিষ্ঠা করেছে৷

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে টুইট করতে গিয়ে রাজ্যপাল এই আইন ভারতীয়দের জন্যই নয়৷ এই আইন বিদেশিদের জন্য, যাঁরা নির্দিষ্ট দেশগুলিতে বিশেষ পরিস্থিতির শিকার হয়ছে এবং এখন ভারতে আছে৷ নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং এন আর সি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ বা মানবাধিকার কমিশনের মত ‘নিরপেক্ষ’ সংস্থার মাধ্যমে গণভোট চেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টাফ এই দাবিকেই অসাংবিধানিক এবং গ্রহণ করার অযোগ্য বলেছেন রাজ্যপাল৷ ভারতের অভ্যন্তরীন ব্যাপারে বাহ্যিক যোগের দাবিকে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন রাজ্যপাল৷ বলেছেন, মমতার এই দাবি দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোকেই বিনষ্ট করবে৷

রাজ্যপাল বলেছেন, জাতির পিতার নাম করে বলছি, তিনি যা শপথ নিয়েছিলেন, তা মেনে চলুন৷ যাঁরা দেশকে ভালবাসে, তারা এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে৷ রাজ্যপালের এই টুইটের ফলে বিরাট প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য করেছেন৷ কিন্তু, রাজভবন এবং নবান্ন’র ক্রমবর্ধমান দুরত্বে এই ঘটনা একটি নতুন স্টেশন যোগ করল৷

বাম আমলে রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীর সঙ্গে মহাকরণের নানান বিষয়ে দ্বন্দ্ব লেগেছিল৷ কিন্তু, তা কখনও তিক্ততা মাত্রা ছাড়েনি৷ আবার, প্রাক্তন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল৷ কেশরিনাথ ত্রিপাঠি এবং জগদীপ ধনখরের ক্ষেত্রে তৃণমূলের অভিযোগও প্রায় একই রকমের৷

তাঁদের কাজকর্ম যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি নষ্ট করছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে৷ রাজ্যপাল ধনখড়কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘুরিয়ে বিজেপির লোক বলেছেন৷ রাজ্যপাল ত্রিপাঠীকে তিনি বিজেপি-র ব্লক সভাপতি বলেছিলেন৷ অন্যদিকে, কেশরিনাথ থেকে ধনখর, সুযোগ পেলেই রাজ্য সরকারকে বাক্যবনে বিদ্ধ করেছেন৷ রাজ্যপাল ধনখর মুখ্যমন্ত্রীকে কঠোর ভাষায় সমালোচনাও করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − three =