নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় সংশোধন ও নতুন ভোটার কার্ড তৈরির জন্য দ্বিতীয় দফার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে ১৬ ডিসেম্বর থেকে, চলবে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত৷ নির্বাচন প্রক্রিয়ার মতোই রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের উপস্থিতিতে বিশেষ এই কর্মসূচি চলছে৷ নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে ১ জানুয়ারি মধ্যে যাঁদের বয়স ১৮ বছর হয়ে যাবে, তাঁরা নতুন ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন৷ একই সঙ্গে চলবে সংশোধনের কাজ৷ এরপর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি৷
দ্বিতীয় দফায় এই সংক্রান্ত কাজ করা যাবে কমিশনের ওয়েবসাইট ceowestbengal.nic.in থেকে।
যাঁরা NVSP পোর্টালে ভোটার লিস্ট সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা এই লিংকে গিয়ে জানতে পারবেন সংশোধন হয়েছে কি না৷ লিংকটি হলো http://wberms.gov.in/web_searchengine/ লিংকে ক্লিক করে আপনার ইপিআইসি নম্বর এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে সার্চ করলে ভোটার তথ্য চলে আসবে৷ প্রিন্ট অপশন-এ গিয়ে ডাউনলোড করে নিলে একটি পিডিএফ ফাইল পেয়ে যাবেন৷
যাঁদের পুরানো ইপিআইসি কার্ড আছে, তাদের অনেকেরই ইপিআইসি নম্বর পরিবর্তন হয়ে গেছে, সেটাও এই ফাইলে পেয়ে যাবেন বা নতুন ইপিআইসি নম্বর জানতে পারবেন৷ যাঁদের ভোটার কার্ড ইতিমধ্যেই সংশোধন হয়েছে, www.nvsp.in পোর্টালে গিয়ে লগ ইন করবেন, তারপর Forms-এ গিয়ে 001নং ফর্মটি ফিল আপ করে আপলোড করে দিন৷ নতুন ভোটার কার্ড BLO মারফত আপনার বাড়ি চলে আসবে৷
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নতুন ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গেলে ৬ নম্বর ফর্ম দাখিল করতে হবে৷ নাম সংশোধনের করতে দিতে হবে ৮ নম্বর ফর্ম৷ নাম বাতিল করতে ৭ নম্বর ফর্ম জমা করা হবে৷ ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ৮(ক) ফর্ম জমা করাতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন৷ এর আগেও অনলাইনে ভোটার তালিকায় নাম তোলা থেকে শুরু করে সংশোধন করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল৷ এই কাজে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন বাংলায় কয়েক হাজার শিক্ষক৷
খসড়া ভোটার তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে৷ সেই তালিকায় রাজ্যে মোট ভোটারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৯৮ লক্ষ ১৫ হাজার ১৫৩ জন৷ এবার নতুন ভোটারদের নাম যুক্ত হলে সেই তালিকা আরও দীর্ঘ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷