প্রশাসক মমতার রাজ্যে প্রতিবাদের নাম তাণ্ডব চালাল কী ভাবে?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'স্বভাব-বিপ্লবী'। যেহেতু তিনি জনগণের দ্বারা 'বাংলার অগ্নিকন্যা' উপাধিতে ভূষিতা, সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁর বিরোধীনেত্রী সুলভ আচরণ কখনও পর্দার আড়ালে চলে যায় না। তাঁর মনঃপুত কোনও কাজ না হলেই তিনি 'পথ' নেন। সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে মাইলের পর মাইল হেটে তিনি প্রতিবাদ জাহির করতে আজও ভালোবাসেন।

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 'স্বভাব-বিপ্লবী'। যেহেতু তিনি জনগণের দ্বারা 'বাংলার অগ্নিকন্যা' উপাধিতে ভূষিতা, সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁর বিরোধীনেত্রী সুলভ আচরণ কখনও পর্দার আড়ালে চলে যায় না। তাঁর মনঃপুত কোনও কাজ না হলেই তিনি 'পথ' নেন। সঙ্গীসাথীদের সঙ্গে মাইলের পর মাইল হেটে তিনি প্রতিবাদ জাহির করতে আজও ভালোবাসেন।

সম্প্রতি NRC, NRP, CAA বিরোধী পদক্ষেপ নিয়েছেন কলকাতার রাজপথে। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে নাগরিকত্বের প্রশ্নে তিনি সংগ্রাম জারি রেখেছেন। কিন্তু, NRC এবং CAA এর বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে মমতা কী দেখতে পাননি যে , রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কী অপকর্ম চলছে? প্রশাসক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী হারিয়ে গিয়েছিলেন? প্রশ্ন উঠছে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতি বিরোধিতা প্রদর্শন করতে গিয়ে একদল মানুষ যে ভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে তা যেন দেখেও দেখেনি রাজ্য সরকার। ঘটনার দু-তিনদিন পর ঘুম ভেঙেছে প্রশাসনের। প্রশাসনের এই ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অন্তত আইনের আসন নেই। টানা তিন দিন দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে, আগুন লাগিয়েছে – প্রশাসনের কর্তাটা হয়ত, উপরমহলের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভেবে থাকেন, রাজ্যের মানুষ বোকা তবে ভুল ভেবেছেন। আম জনতা বুঝতে পেরেছে, কখন পুলিশ কাজ করে এবং কার নির্দেশে কাজ করে। ৩৪ বছরের সিপিএমের রাজত্বে পুলিশ রাজধর্ম পালন করা ভুলে গিয়ে দলদাস হয়ে ছিল। ২০১১ সালের পর থেকে তারা যে বদলায়নি বরং কৃতদাসে পরিণত হয়েছে তা আর লুকিয়ে রাখার জায়গা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *