নয়াদিল্লি: বঙ্গে এখনও শেষ হয়নি বিজেপির রাজ্য সভাপতির নির্বাচন৷ চলছে সেই প্রক্রিয়া৷ আনুষ্ঠানিক ভাবে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা না হলেও রাজস্থানের নতুন বিজেপি রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা করল গেরুয়া শিবির৷ ভিন রাজ্যে সভাপতির নাম ঘোষণা হলেও কী অবস্থায় রয়েছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ?
রাজস্থান বিজেপির তরফে আজ নতুন সভাপতি নাম ঘোষণা করা হয়েছে৷ তাতে নতুন দায়িত্ব পাচ্ছেন সতীশ পূর্ণিয়া৷ সতীশ পূর্ণিয়া এতদিন ছিলেন সাংসদ৷ এবার সংসদ সদস্য হওয়ার পাশাপাশি দলের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি৷ রাজস্থানে সরকার পড়ে যাওয়ার প্রায় ১ বছর পর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বে বড়সড় বদল আনল গেরুয়া শিবির৷ জানা গিয়েছে, আগামী দিনে দলকে চাঙ্গা করতে মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা ও ছত্তিশগড়-সহ বাংলায় গেরুয়া নেতৃত্বে বদল আনতে পারেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ৷
অন্যদিকে, নতুন বছরের শুরুতেই বাংলায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা৷ দিল্লি থেকে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতে পারে৷ তবে, গত লোকসভায় ১৮টি আসন দখল করার পুরস্কার হিসাবে দিলীপ ঘোষকেই ফের বঙ্গ বিজেপির সভাপতি পদে বসানো হতে পারে বলে খবর৷ দিলীপ ঘোষই ফের রাজ্য বিজেপির সভাপতি হবেন তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। বিজেপির অন্তর্দলীয় নির্বাচন প্রায় শেষ৷ মণ্ডল (সাংগঠনিক স্তর) এবং জেলা সভাপতি স্তর পর্যন্ত নির্বাচন সম্পুর্ণ৷ রাজ্য সভাপতির নির্বাচন বাকি রয়েছে৷ যা খবর, রাজ্য সভাপতি হিসাবে দিলীপবাবুর পুনর্নির্বাচন সময়ের অপেক্ষা৷
কেন্দ্রীয় পার্টিও, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকেই তৈরি রাখতে চাইছে৷ কিন্তু সাংসদ দিলীপ ও রাজ্য সভাপতি দিলীপ – এই দুই সত্ত্বাকে কিছুটা আলাদা ভাবেই চাইছে কেন্দ্রীয় পার্টি। কেন্দ্রীয় পার্টির বক্তব্য, রাজ্যের সমস্যাগুলি সংসদে পৌঁছে দিতে পারবেন দিলীপ৷ সারা দেশের দরবারে তৃণমূল সরকারের ‘কীর্তি’ ফাঁস করতে কন্ঠ হিসাবে কাজ করবেন দিলীপ৷
২০১৫ সালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি হন দিলীপ ঘোষ৷ ২০১৮ সালেই সভাপতি হিসাবে নিজের প্রথম অধ্যায় শেষ করেছেন৷ কিন্তু রাজ্য বিজেপি থেকে তাঁকে দ্বিতীয় অধ্যায়ের সূচনা করতে বলা হয়েছিল অনেক আগেই৷ বিজেপির সংবিধান অনুযায়ী, একজন সভাপতি দুই বার পরপর তিন বছর করে সভাপতিত্ব করতে পারেন৷ অথবা, ৬ বছর টানা সভাপতিত্ব করতে পারেন৷ সেক্ষেত্রে যেটা আগে হবে সেটিই তার সভাপতিত্বের শেষ দিন হিসাবে ধরা হবে৷ দিলীপ ঘোষের ক্ষেত্রে ২০২১ পর্যন্ত সভাপতির চেয়ারে থাকবে, তা নিশ্চিত৷ জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এক জন সাধারণ সম্পাদক সংগঠন থাকবেন৷ তিনি তাঁর কাজের সুবিধার জন্য আরও দু-একজনকে নিয়োগ করতে পারেন৷