ভোপাল: জীবনের সবথেকে বড় বিপর্যয় যেন একেই বলে। এক লহমায় বাবা এবং মা’কে হারিয়েছে ভোপালের ১৭ বছরের কিশোরী বনিশা। দু’জনেই মারা যান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। কিন্তু সেই শোক ধীরে ধীরে কাটিয়ে উঠছিল সে। এরই মধ্যে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় প্রায় ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্য প্রথম হয় বনিশা। গোটা দেশে সেই নিয়ে শোরগোল পড়েছে। তবে তার জন্য যে আরও জটিল পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে কে জানত। এখন তাকে শোধ দিতে হবে ২৯ লক্ষ টাকা!
আরও পড়ুন: হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, সাসপেন্ড বিজেপির মুখপাত্র
জানা গিয়েছে, তার বাবা এক সময় গৃহঋণ নিয়েছিলেন। এবার সেই বাবার নেওয়া গৃহঋণের বকেয়া মেটাতে আইনি নোটিশ পাঠানো হচ্ছে তাকে। ফেরত দিতে হবে ২৯ লক্ষ টাকা। কিন্তু এই টাকা এখন সে বনিশা কী ভাবে ফেরত দেবে তা ভেবে কূল পাচ্ছে না সে। বাবা-মা হারানো বনিশা এখন থাকে মামার কাছে। তার একটা ছোট ভাইও আছে। এই অবস্থায় এই টাকা শোধ দেওয়ার ব্যাপার নিয়ে চিন্তায় পরিবার। বনিশার অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ জানে যে তার এখনও ১৮ বছর বয়স হয়নি, সে কোনও কাজ করে না। কিন্তু তাও নাকি সংস্থা কোনও কথা শুনতে চাইছে না।
তার মামা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে একাধিকবার বনিশার বাবা মৃত জীতেন্দ্র পাঠকের নামে আইনি নোটিস পাঠিয়েছে এলআইসি। যদিও এলআইসি কর্তৃপক্ষকে তিনি চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বনিশার পক্ষে ঋণ শোধ করা সম্ভব না। অন্যতম কারণ, অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বাবার জমানো টাকার মাসে মাসে প্রাপ্ত সুদ তুলতে পারছে না সে। এক্ষেত্রে তাকে যেন ১৮ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত সময় দেওয়া হয় এই আর্জি জানান হয়েছে। তবে তাতে কিছু লাভ হয়নি। তবে আপাতত জানা গিয়েছে, এলআইসি কর্তৃপক্ষ তাদের মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের মে মাসে মৃত্যু হয় জিতেন্দ্রর, কয়েক দিন পর মৃত্যু হয় বনিশার মা সীমা পাঠকের।