মুম্বই: যত দিন যাচ্ছে ততই ক্রমশ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে দেশজুড়ে। সৌজন্যে আবারও করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার দেশে করোনা গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও বুধ সকালেই তা আবার চড়চড়িয়ে বাড়ল। কেন্দ্রের হিসাব বলছে একদিনে দেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪১ শতাংশ। মহারাষ্ট্র, কেরল, চেন্নাই, তামিলনাড়ু, দিল্লির মত রাজ্যগুলিতে মাত্রাছাড়া হারে বেড়েছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার জেরেই একদিনে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছালো পাঁচ হাজারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের হিসাব অনুযায়ী দেশে মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৫২৩৩ জন। আগের দিনের থেকে প্রায় আড়াই হাজার বেড়েছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
উল্লেখ্য এই মুহূর্তে দেশজুড়ে লাগামছাড়া হারে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে অনেকটাই হাত রয়েছে মহারাষ্ট্রের। গত সপ্তাহের মধ্যভাগ থেকে হঠাৎই এই রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা লাগামছাড়া হারে বাড়তে শুরু করেছে। এক দুই করে বাড়তে বাড়তে এই কয়েকদিনে মারাঠা ভূমিতে সংক্রমণ বেড়েছে ৮১ শতাংশ। কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী বুধবার সকালে শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রেই দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮৮১। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দক্ষিণের রাজ্য কেরলকে হারিয়ে ফের প্রথম স্থান দখল করেছে মহারাষ্ট্র। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে বিশেষজ্ঞদের মত, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মহারাষ্ট্রে ফিরবে করোনার প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহ স্মৃতি। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার রেকর্ড বৃদ্ধি পেলেও মহারাষ্ট্র কিন্তু বুধবার মৃত্যুহীন। দেশে গত একদিনে করোনার বলি হয়েছেন সাতজন। মৃত এই সাতজনের মধ্যে আবার পাঁচজন কেরলের বাসিন্দা এবং বাকি দুজনের মধ্যে একজন উত্তরপ্রদেশ এবং একজন রাজধানী দিল্লির বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা এদিনও হাজারের উপরে অবস্থান করছে কেরলে। অন্যদিকে কর্ণাটক, দিল্লি, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশের মতো একাধিক রাজ্যে বেশ উদ্বেগজনক জায়গাতেই অবস্থান করছে দৈনিক সংক্রমণ।
অন্যদিকে, কেন্দ্র হিসাবে বলছেন গত একদিন এদেশে করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩৪৫ জন। আগের দিনের থেকে বেশ কিছুটা কমেছে সুস্থতার হার। পাশাপাশি বেড়েছে করোনার অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা। কেন্দ্রের হিসেব বলছে এই মুহূর্তে দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেস দাঁড়িয়ে রয়েছে ২৮ হাজার ৮৫৭ তে। যার মধ্যে গত একদিনে বেড়েছে ১৮৮১।