কলকাতা: এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ বিরোধিতা করে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি৷ দেশের বিভিন্ন কোনা থেকে বিক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠছে৷ বাধ্য হয়েই বেশ খানিকটা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তারপরেও দমানো যায়নি বিক্ষোভ৷ এবার সেই বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নয়া বিতর্ক৷ তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া৷
সিএএ, এনআরসি বিক্ষোভে বাংলাদেশের নাগরিকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে অভিযোগ উছেঠে সোশ্যাল দুনিয়ায়৷ নেটপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, সম্প্রতি সিএএ বিরোধী তৃণমূলের একটি অবস্থান বিক্ষোভে এক ব্যক্তির উপস্থিতি দেখা গিয়েছে৷ ওই ব্যক্তির নাম মানিক আলি৷ ফেববুক প্রোফাইল বলছে, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক৷ এই খবরটি প্রকাশ পেতেই বিরোধীদের বিঁধতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির৷ তাঁদের দাবি, বাংলাদেশের অবৈধ শরণার্থীদের সুরক্ষিত করতেই পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার এত জোর বিরোধিতা করছেন৷ যদি বিরোধীরা এই দাবি প্রথম থেকেই করে আসছেন৷
গেরুয়া শিবির প্রথম থেকে দাবি করে আসছেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘মুসলিম তোষণে’র রাজনীতি করেন৷ অবৈধভাবে বাংলাদেশের মুসলিমনাগরিকদের বৈধতা দিচ্ছেন তিনি বলে একাধিক অভিযোগ ওঠে৷ গেরুয়া শিবির দাবি করেছেন, এই ছবি থেকে তাঁদের দাবির সপক্ষে প্রমাণ আছে৷ ফেববুক প্রোফাইলে লেখা আছে, তিনি ছাত্রলীগের সদস্য৷ তিনি ফেসবুকে জানিয়েছেন, ভারতের উত্তপ্ত রাজনীতিতে অবস্থান বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করেছেন তিনি৷ তবে এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷ তাঁর এই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর মানিক আলি ফেসবুক থেকে সরে গিয়েছেন৷
এর আগেও হুমায়ুন কবীর নামে বাংলাদেশের নাগরিক সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছিলেন৷ জানা যায়, তিনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন৷ ভারতের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখার পাশাপাশি সিএএ বিরোধী বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করেছিলেন৷ এদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরোধিতা করবে এই আইন৷ এর আগে ইউরোপের দুই নাগরিক সিএএ বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করায় তাঁদের নিজেদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷
যদিও অনেকেই এই বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ৷ তাঁরা বলেছেন, বাংলাদেশের সরকারের বিরোধিতা করে যখন আন্দোলন হয়, তখনও ভারত বিশেষ করে পশ্চিম বাংলা থেকে বহু মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরোধিতা করেন৷ শুধু তাই নয়, অনেক সময় কোনও কাজে বাংলাদেশে গেলে বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করেন৷ অনেকে আবার অক্ষয় কুমারের প্রসঙ্গ টেনে আনেন৷ তাঁরা জানান, অক্ষয় কুমার কানাডার নাগরিক৷ তারপরেও ভারত সরকারের বিভিন্ন বিভিন্ন প্রচারে তাঁর মুখ জ্বল জ্বল করে৷ বাংলাদেশের নাগরিকদের সিএএ বিরোধিতা যদি বেআইনি হয়, তবে ভারত সরকারের অক্ষয় কুমারকে দিয়ে প্রচারও বেআইনি ঘোষণা করতে হবে৷ তবেই বিষয়টি নিরপেক্ষ হবে৷ যদিও, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টের সত্যতা যাচাই করেনি আজ বিকেল ডটকম৷