নয়াদিল্লি: অনেক সময় পরের 'নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ' করার বদভ্যাস কমবেশি আমাদের সকলেরই আছেI কিন্তু ছাত্রছাত্রীরা এই নিরবুদ্ধিতা দেখাবে, তা ভাবলে কষ্ট হয়I নেতাদের প্যাঁচে পড়ে তাঁরা নিজ গৃহবাসের যারপরনাই অপমান করলেন, কিন্তু তাতে তাঁদের কোনও ফায়দা হল নাI নানাস্তরে ছাত্ররাই বদনাম কুড়ালেন, লাভের গুঁড় চেটে খেলেন নেতারাI
সম্প্রতি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উপস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানকে কালিমালিপ্ত করেছেন কলকাতা এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাI ডিগ্রি প্রাপকদের ডিগ্রি প্রদান করতে পারেননি রাজ্যপালI কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট প্রদান করতে পারেননি তিনিI ছাত্ররা কী বুঝে উঠতে পারেনি যে, এতে সম্মানহানী কার হল? রাজ্যপালের নাকি তাের বিদ্যায়তন (বা গৃহবাস, যদি সেভাবে ডাকতে পছন্দ করেন) – বিশ্ববিদ্যালয়ের? তবে এক পক্ষের লাভ হয়েছে, তারা হলেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী-কর্মীরাI ছাত্রদের কাছে নুন রেখে তারা কুল খেয়েছেন – অর্থাৎ নিজেরা সরাসরি উপস্থিত না থেকেও, ছাত্রদের দ্বারা রাজ্যপালকে হেনস্থা করিয়ে তাঁরা তৃপ্ত হয়েছেনI বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান চুলোয় যাকI
তৃণমূল প্রভাবিত ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গণ্ডোগোল পাকানোর পর রাজ্যসরকার বিশেষ করে শিক্ষামন্ত্রী নিজের মন্তব্যের মাধ্যমে পরক্ষে পিঠ চাপড়ে দিয়েছেনI ছাত্ররাও 'বিজেপির লোক' রাজ্যপালকা হেনস্তা করতে পেরে খুশিI কিন্তু কেউ কী তাদের বুঝিয়ে দেবে, এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা বিদ্যায়তনের কী সর্বনাশ করলেনI সমাবর্তন অনুষ্ঠান রাজ্যপালের নয়, ছাত্রছাত্রীদেরI প্রথামাফিক আচার্য রাজ্যপাল সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ডিগ্রি দেনI সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রবেশ করে না দিয়ে, অনুষ্ঠানে গণ্ডোগোল পাকিয়ে কালীদাস সাজল ছাত্ররাইI লাভের গুড় খেল তৃণমূলI