নয়াদিল্লি: ভোট পূর্ববর্তী সমস্ত সমীক্ষায় বলছে দিল্লিতে ভরাডুবি হতে চলেছে বিজেপি। রাজধানীতে মোদী-শাহ'র মুখ লুকানোর জায়গা থাকবে না। দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের মধ্যে ৫৪-৬০টি আসন পাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি বা আপ। অন্য দিকে, ১০-১৬টি আসনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে বিজেপি।যদিও গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই সব সমীক্ষাই বিভ্রান্তিকর। দিল্লিতে এবারে পরিবর্তন আসছেই।
কিন্ত, রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এবার দিল্লিতে মোদী-শাহ'র কাজ সহজ হবে না। সারা দেশ সিএএ এবং এন আর সি-এর বিরোধিতায় লেগে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির ভোটে তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। শুরু থেকেই উন্নয়নের প্রশ্নেই দিল্লিতে ভোটের প্রচার শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য পরিষেবার কথা বলেই ভোট চাইছিলেন। প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিও উন্নয়নের ইস্যুতে কেজরিওয়ালকে বিদ্ধ করার চেষ্টা করছিলেন।
কিন্তু, হঠাৎই সব বদলে গেল। সিএএ বিরোধীরা শাহীনবাগে জমায়েত করতে লাগলেন। উন্নয়ন ছেড়ে বিজেপি ধর্মীয় তাস খেলতে লাগল। দিল্লির আকাশে-বাতাসে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং পাকিস্তান-বিরোধী গরম বক্তব্যের বিষবাষ্প ভরে যেতে লাগল। বিজেপি প্রমান করতে সচেষ্ট হল, শাহীনবাগের পক্ষে দাঁড়িয়ে কেজরিওয়াল নিজেকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। এক বিজেপি এমএলএ বলেই ফেললেন, নির্বাচনের দিন ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ। বিজেপির পক্ষ নিলে ভারত জিতবে। আপের পক্ষ নিলে জিতবে পাকিস্তান।
সাধারণ দিল্লির জনতা বিষয়টিকে ভালো ভাবে নেয়নি। যারা বিজেপিকে সমর্থন করেন না, তাঁরা এত সহজে পাকিস্তানি হয়ে যাবেন এই আশা করেন নি অনেকেই। সেই কারণেই দিল্লির দরবারে, জনতার থেকে কড়া জবাব পেতে চলেছে।