নয়াদিল্লি: স্কুলের দেওয়া হোমওয়ার্ক করতে রাজী হয়নি মেয়ে। আর তাই শাস্তিস্বরূপ বছর পাঁচেকের মেয়েকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উত্তপ্ত ছাদে ফেলে রাখল মা। হোমওয়ার্ক না করার এমন ভয়াবহ শাস্তির এই ভয়াবহ দৃশ্য সামনে আসতেই কার্যত কেঁপে উঠেছে গোটা দেশ। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লির খাজুরি খাস নামক এলাকায়। সম্প্রতি এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছে দিল্লির প্রচণ্ড গরমে হাত পা বাঁধা অবস্থায় এক শিশুকন্যাকে উত্তপ্ত ছাদের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়েছে। গরম ছাদের মেঝেতে কার্যত পুড়ছে শিশুটির গোটা শরীরের চামড়া। আর তাতেই ছ্যাকা খেয়ে ভয়াবহ চিৎকার করছে সে। কিন্তুই তাঁর প্রাণপণ চিৎকারের পরেও ওই শিশুকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসছে না কেউ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি দেখার পরেই কার্যত কেঁপে উঠেছে নেটিজেনরা। কিভাবে একজন মা এত নিশংস হতে পারে এই প্রশ্নই উঠছে বারবার।
এই ঘটনার নির্মমতা দেখে লোকজন এতটাই আতঙ্কিত হয়েছেন যে অনেকেই অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পুলিশি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। এমনকি বিষয়টি পুলিশের কানেও উঠেছে। বুধবার বিকেলে বিষয়টি জানতে পেরে তড়িঘড়ি তদন্তে নেমেছে পুলিশ আধিকারিকরা। আর তাতেই জানা গিয়েছে দিল্লির খেজুরি খাস এলাকার কারওয়াল নগরে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ ওই একরত্তি শিশুর মাকে চিহ্নিত করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশি জেরার মুখে পড়েই শিশুটির মা জানিয়েছে হোমওয়ার্ক করতে না চাওয়ায় মেয়েকে এমন নৃশংস শাস্তি দিয়েছে সে। জানা যাচ্ছে শিশুটিকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উত্তপ্ত ছাদের মধ্যে প্রায় পাঁচ থেকে সাত মিনিটের জন্য ফেলে রাখা হয়েছিল। আর তাতেই তার শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার ভয়াবহতা দেখে পুলিশ আধিকারিকরা অভিযুক্ত মায়ের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন।