কলকাতা: রাজধানীর পর এবার বাংলা৷ নিজের দুর্গে পা রেখে ফের বিজেপি-আরএসএসের ধর্মীয় বিভাজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন ঐশী ঘোষ৷ শুক্রবার হাওড়ার একটি সভা থেকে জেএনইউ ছাত্রসংসদ সভানেত্রী ঐশী ঘোষ সাফ দানিয়ে দেন, ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি, আরএসএস৷ কখনও ধর্মের নামে কখনও সেনাবাহিনীর নামে ভোটে জেতার চেষ্টা চলছে৷ কিন্তু, বিজেপির এই রাজনীতি বাংলায় চলবে না৷
‘শিক্ষা বাঁচাও, সংবিধান বাঁচাও’ এই দাবিতে শুক্রবার মিছিলের ডাক দেয় এসএফআই৷ মিছিল শেষে শরৎ সদনের ঐশী ঘোষকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ সমাবেশ মঞ্চ থেকে ঐশী ঘোষ বলেন, ‘‘বিজেপি এয়ার ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে এলআইসি সব একে একে বেচে দিচ্ছে৷ এবার দেখবেন, দেশের মানুষকেও বেচে দেবে৷ এনআরসি জন্য এরা কোটি কোটি টাকা খরচ করছে৷ কিন্তু, জেএনইউ, জামিয়া, প্রেসিডেন্সি, যাদবপুরের পড়ুয়াদের শিক্ষার উন্নতিতে কিছু করছে না৷’’
সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ঐশী ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে যে ইস্যু নিয়ে এসেছি, দিল্লিতেও সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর নিয়ে লড়াই চলছে৷ দেখলাম, বাংলার এখানকার মানুষ সিএএ, এনআরসির বিরুদ্ধে৷ আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে৷ আজ সেই বার্তা দিতে এখানে এসেছি৷ বাংলা থেকে এই প্রেরণা নিয়ে দিল্লিতে গিয়েও আওয়াজ তুলতে চাই৷ এনআরসি, সিএএ’র বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রধান মুখ তৃণমূল৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে ঐশী ঘোষ জানান, ‘‘সমস্ত রাজনৈতিক দল আরএসএস ও বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছে৷ সেটা ভাল কথা৷ এ রাজ্য অন্য কোনও রাজনৈতিক দল যখন লড়াই করতে যাচ্ছে, তখন তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বা বাধা দেওয়া হচ্ছে৷ আমাদের উচিত আরও মানুষের কাছে পৌঁছানো৷ আরএসএস ও বিজেপির মোকাবিলা করা৷ রাজ্য সরকারকে বুঝতে হবে, এই ধরনের মিছিলকে আটকে দেওয়া মানে বিজেপি ও আরএসএসকে সুবিধা করে দেওয়া৷’’