শিয়রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, তাতে কী? ‘বাংলার গর্ব মমতা’র প্রচারে তৃণমূল

শিয়রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, তাতে কী? ‘বাংলার গর্ব মমতা’র প্রচারে তৃণমূল

কলকাতা: জনসংযোগ কর্মসূচি নিয়ে এবার ময়দানে তৃণমূল কংগ্রেস। ২ মার্চ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কর্মসূচির নাম 'বাংলার গর্ব মমতা'। এই জনসংযোগ কর্মসূচি চলবে তিনটি পর্যায়ে। আগামী ৭ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। আগামী ১২ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ কিন্তু, সেই পরীক্ষার মধ্যে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

প্রথম পর্যায়: চলবে ৭ মার্চ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। প্রথম দিন অর্থাৎ ৭ মার্চ 'তৃণমূল কর্মী সম্মেলন', ৮ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত 'জলযোগে যোগাযোগ' কর্মসূচি এবং ১৫ মার্চ হবে 'স্বীকৃতি সম্মেলন'।

তৃণমূল কর্মী সম্মেলন: বাংলার ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় এক লক্ষ দলীয় নেতা নানা কর্মসূচি পালন করবেন।

জলযোগে যোগাযোগ: ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে দলীয় নেতারা প্রায় ২,৫০০ জন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতা করবেন।

স্বীকৃতি সম্মেলন: দলের প্রবীণ কর্মীদের সম্মানজ্ঞাপন অনুষ্ঠান।

দ্বিতীয় পর্যায়: ২০ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি। ২০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত 'বঙ্গধ্বনি যাত্রা', ১৪ এপ্রিল 'সংহতি সভা' এবং ১৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে 'চেতনা সভা'।

বঙ্গধ্বনি যাত্রা: ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫,০০০টি জনবসতি এলাকায় প্রায় ৪০,০০০ কিলোমিটার পথ জুড়ে এই যাত্রায় অংশ নেবেন তৃণমূলস্তরের কর্মীরা।

সংহতি সভা: ২৭৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত আড়াই লক্ষ মানুষের সঙ্গে দলীয় নেতাদের আলাপচারিতা পর্ব।

চেতনা সভা: ৯৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০ হাজার তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের  মানুষের সঙ্গে বৈঠক করবেন দলীয় নেতারা।

তৃতীয় পর্যায়: ২০ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। ২০ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত 'বাংলার বার্তা', এরই মধ্যে ৩ মে 'নবীনবরণ সভা', ৮ মে 'বিশিষ্টা সম্মেলন', ২০ মার্চ থেকে ৮ মে পর্যন্ত 'তৃণমূলের সাথে মান্যজন' এবং শেষ কর্মসূচি ১০ মে 'তৃণমূল পদাতিক সম্মেলন'।

বাংলার বার্তা: সাড়ে তিন হাজার পঞ্চায়েত ও পুরসভার ১০ লক্ষ মানুষের সঙ্গে জনসভা করবেন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।

নবীনবরণ সভা: একলক্ষ যুবকের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান উপলক্ষে অনুষ্ঠান।

বিশিষ্টা সম্মেলন: ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ১৫,০০০ মহিলাকে বিশেষ সম্মানপ্রদান অনুষ্ঠান।

তৃণমূলের সাথে মান্যজন:  ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের ২৫ হাজার জনমত গঠনকারী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে একক বৈঠক দলীয় নেতাদের।

তৃণমূল পদাতিক সম্মেলন: দেড় হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পদযাত্রা এবং বুথকর্মী সম্মেলন।

শাসক দল তৃণমূলের এই কর্মসূচি ঘিরে রাজনৈতিক মহলের তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে৷ একই সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মধ্যেই তৃণমূলের এই কর্মসূচির বিরুদ্ধেও সরব হয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ তাঁদের দাবি, মমতাকে বাংলার গর্ব প্রমাণ করতে তৃণমূলকে হঠাৎ কেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়সূচিকে বেছে নিতে হল? প্রচার যদি করতেই হত, তাহলে কেন উচ্চমাধ্যমিক শেষ হওয়ার পর কিংবা আগে করা হল না?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *