নয়াদিল্লি: দেশে করোনার রেকর্ড সর্বোচ্চ সংক্রমণ। একদিনে দৈনিক সংক্রমণের হার বাড়ল ৩৩.৭ শতাংশ। চলতি মরসুমে যা সর্বোচ্চ। কেন্দ্রের রেকর্ড অনুযায়ী গত একদিনে দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৮৮২২ জন। গতকাল এই সংখ্যাটাই ছয় হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছে। অন্যদিকে এদিনের রেকর্ড জানান দিচ্ছে মহারাষ্ট্র, কেরলের পর এবার রাজধানী দিল্লি এবং কর্নাটকের করোনার দৈনিক সংক্রমণ নতুন করে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ক্রমশ। জানা যাচ্ছে গত একদিনে মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৫৬ জন। কেরলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৯৮৯। অন্যদিকে গত একদিনে কার্যত লাফিয়ে বেড়েছে কর্ণাটক এবং দিল্লির করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। একদিনে এই কর্নাটকে যখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশোর গন্ডি পার করেছে, তখন রাজধানী দিল্লিতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ পার করেছে হাজারের গণ্ডি। এই দুই রাজ্যে গত একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যথাক্রমে ৫৯৪ এবং ১১১৮। তবে এই রাজ্যগুলো ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, হরিয়ানা, গুজরাট, তেলেঙ্গানার মতো একাধিক রাজ্যেও প্রায় প্রত্যেক দিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা।
অন্যদিকে এদিন করোনার দৈনিক আক্রান্তের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে বলে জানাচ্ছে কেন্দ্রের রিপোর্ট। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার যেখানে দেশে করোনায় একজনেরও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি, সেখানে আজ অর্থাত বুধবার দেশে করোনার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা এক ধাক্কায় বেড়ে হয়েছে ১৫। মৃতদের মধ্যে সাতজন কেরলের বাসিন্দা, চারজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, দুজন দিল্লির বাসিন্দা এবং একজন করে রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।
এর পাশাপাশি জানা যাচ্ছে গত একদিনে দেশে করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭১৮ জন। অন্যদিকে দেশে করোনার মোট অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা একলাফে বেড়ে হয়েছে ৫৩ হাজার ৬৩৭, যা চলতি মরসুমে সর্বকালের রেকর্ড।কেন্দ্রের রিপোর্টে এদিন আরও জানা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই করোনার পজিটিভিটি রেট উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই মুহূর্তে দৈনিক পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই শতাংশে, যেখানে সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়ে রয়েছে ২.৩৫ শতাংশে। অন্যদিকে এই মুহূর্তে দেশের দৈনিক সুস্থতার হার কমে হয়েছে ৯৮.৬৬ শতাংশ।