কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখের কথায় বিশ্বাস করে ভুল হয়েছিল, তা মেনে নিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র৷ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ডা. মিশ্র লিখেছেন, “পরীক্ষা বাড়ানোর বাঁধা যথেষ্ট কিট না পাওয়া, এটা পরে অসত্য বলে বোঝা গেল। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা, পিপিই এবং মাস্ক ইত্যাদির অপ্রতুলতা, কোয়ারেন্টিন এবং আইসলেশনে থাকা মানুষের সংখ্যা ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসায় ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি অনেক বিষয়ে প্রচার ও বাস্তবতার মধ্যে ফাঁক বাড়তে থাকল।”
করোনা বিরোধী লড়াইয়ে কিছুদিন আগেও নবান্নে দলমত নির্বিশেষে লড়াই করার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, লিখেছেন সূর্যকান্ত। কিন্ত, তিনি যে আশাহত তা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, ” পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বামফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের আলোচনায় সেই পরিবেশ অক্ষুন্ন ছিল। আমরা সবসময় আমাদের দাবিগুলোর যৌক্তিকতা সরকারকে বোঝাবার চেষ্টা করেছি এবং মুখ্যমন্ত্রীও সেগুলো নস্যাত করে দেননি। কিন্তু তারপরে সরকারের কথায় ও কাজে ফাঁক বাড়ছিল। এক্ষেত্রে আমরা পূর্বের মত কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব যে প্রধান তা বারবার বলেছি। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের সামর্থ্যের মধ্যে যে কাজগুলি দ্রুততা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে করার প্রতিশ্রুতি পেয়েছিলাম সেগুলো উল্টোপথে চলার বিরুদ্ধে মানুষের কাছে বলার দায়বদ্ধতা মেনে চলেছি।”
সূর্যকান্তের মতে, “রেশনে খাদ্য সরবরাহ, রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষ ও অন্যান্য রাজ্যে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যান্য মানুষের থাকা খাওয়ার সমস্যা ইত্যাদি, প্রায় প্রতিটি বিষয়ে ব্যয়বহুল বিজ্ঞাপন ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে অথচ প্রশ্ন তোলা যাবে না। রক্তদান,সাবান,মাস্ক ও খাদ্য সরবরাহ করতে গিয়ে আমাদের নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তার চলছে। মামলা চলবে।”
তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী এবং শাসকদলের নেতাদের জন্য কোনো নিয়ম নীতির বালাই নেই। বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীরা নিয়ম নীতি মেনে চলার জন্য গ্রেপ্তার হচ্ছেন। এসবের শীর্ষে ,১৮ই এপ্রিল বামফ্রন্ট, অন্যান্য বামপন্থী ও বাম সহযোগী দলগুলোর প্রবীন নেতাদের গ্রেফতারসহ পাশাপাশি আরো কিছু ঘটনা দেখিয়ে দিচ্ছে করোনা মোকাবেলা করার পাশাপাশি, করোনা মোকাবেলার অছিলায়, স্বৈরাচারী,সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলোর আক্রমণ বাড়ছে। তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে জীবন জীবিকার ওপর আক্রমণ। এই সব আক্রমণের বিরুদ্ধে আক্রান্ত মানুষের লড়াই একসাথে চালাতে হবে। কোনো একটি আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই শিথিল হলে অন্যগুলোর আক্রমণ বাড়বে।”
West Bengal is getting reported in *The New York Times* for the state government’s utter callousness and suppression of facts!
“Doctors complain that state authorities’ approval is needed for each test, and is regularly refused, meaning …@MamataOfficialhttps://t.co/QQLxG69mxY— Surjya Kanta Mishra (@mishra_surjya) April 19, 2020