কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না। তবে, এই ঘোর করোনা কালে ক্লাব গুলিকে দেওয়ার জন্য টাকা কথা থেকে এলো প্রশ্ন করেছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চ্যাটার্জী। “ক্লাব গুলি কেন এখন টাকা পাচ্ছে? এই টাকা কথা থেকে আসছে? আরামবাগে একটি ক্লাব দেখলাম টাকা পেয়েছে। এদিকে আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) প্রতিদিন বলে যাচ্ছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল বার্নিং, নো আর্নিং …। এই সময় ক্লাবকে দেওয়ার টাকা কথা থেকে এল।” প্রশ্ন লকেটের।
হুগলির সাংসদ লকেটের মতে, লকডাউনের শেষে, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ দেখলো রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রেশন দুর্নীতি ছেয়ে গিয়েছে। ক্লাবদের টাকা দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন মানা হচ্ছে না। একের পর এক দুঃসংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, “টিকিয়াপাড়ায় দেখছি, পুলিশ ত্রাণ বিলি করছে, কিন্তু পুলিশকে ধরেই মারছে …! বাংলায় কোনও সরকার আছে বলে মনে হয় না। কোনও একটি বাজারে দেখলাম ভিড়ে ভিরাক্কার! এদিকে বলা হচ্ছে, আরও লকডাউন চাই। কিন্তু, লকডাউন চেয়ে উন্নতি কী হচ্ছে?” লকেট বলছেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী অবস্থা! একের পর এক বাঙ্গুর (এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল) এর ভিডিও দেখেছি। সব নাকি জাল ভিডিও। কালকে টিকিয়াপাড়ায় ভিডিও জাল বলবেন। আসলে, যিনি বলছেন, তিনিই আসলে জাল হয়ে গিয়েছেন।”
লকেট বলেছেন, “বাঙ্গুরের চিঠিতে শুনছি, লাশের পাহাড় জমে আছে। বিশেষজ্ঞ কমিটি কেন্দ্র থেকে আসার পর থেকে দেখছি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। মুখ্যসচিব বলছেন, ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা পজিটিভ। কিন্তু, অন্য কারণের মারা গিয়েছে। কী বলতে চাইছেন স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞ কমিটি এলো। রাজনীতি চলছে। কিন্তু, বিশেষজ্ঞরা তো অন্য রাজ্যেও যাচ্ছে। রাজস্থানে কংগ্রেসের সরকার বিশেষজ্ঞ কমিটিকে সমস্ত তথ্য দিয়েছে। কিন্তু, বাংলায় দেওয়া হচ্ছে না কেন? কে রাজনীতি করছে?”
লকেট বলছেন, “নিজামউদ্দিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে সমস্ত রাজ্য তথ্য দিচ্ছে। কিন্তু, বাংলা দিচ্ছে না। বলছে, সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন। বাঙ্গুর হাসপাতালের ভিডিও দেখলাম। এক ভদ্রলোককে বলা হল তার করোনা নেগেটিভ। পরে ফোন করে বলা হল তিনি পজিটিভ! ততক্ষনে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। পারে মারা যান। এই দায়িত্ব কে নেবে? কারও মায়ের খোঁজ নেই, কারও বাবার খোঁজ নেই। হাসপাতালে মোবাইল বন্ধ করে দিচ্ছেন। হাতের কাছে মোবাইল থাকলে করোনা রোগী তাঁর বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে মনে জোর পায়। ছেলে মেয়ে, মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে পারে। সেটাও বন্ধ করে দিচ্ছেন। মানবিকতার খাতিরে তো রাখতে পারতেন। শুধু নিজের সত্যি তা বেরিয়ে যাচ্ছে বলে এই কাজ করলেন।”
লকেটের মতে, যে যা বলছে, তার বিরুদ্ধে আক্রমণ হচ্ছে। প্রবাসী ডাক্তাররা প্রতিবাদ করলেন। (তৃণমূল) সাংসদরা আক্রমণ করছেন। প্রতিবাদ করলে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।