অসমের বন্যায় মৃত বেড়ে ৪২, জলের তলায় ৩২টি জেলা

অসমের বন্যায় মৃত বেড়ে ৪২, জলের তলায় ৩২টি জেলা

গুয়াহাটি: যত দিন যাচ্ছে ততই আরও পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে অসমের। একদিকে বাঁধভাঙ্গা বৃষ্টি, অন্যদিকে অতিবৃষ্টির কারণে ভূমিধস, হরকাবানের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা। আর তার জেরেই বন্যাকবলিত অসমে কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। রবিবার সকাল পর্যন্ত অসমে শুধুমাত্র চলতি সপ্তাহেই ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর সঙ্গেই জানা যাচ্ছে এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪০ লক্ষ মানুষ। তাদের মধ্যে অধিকাংশই নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে এই মুহূর্তে ঘরছাড়া। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী অসমের বন্যা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ৩৩টি জেলায়। গত ২৪ ঘন্টায় এই বন্যার কারণে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি ক্রমশ আরো জোরালো হচ্ছে এই রাজ্যে। আর তাই পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এবার অসম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী বন্যাকবলিত অসমের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

চলতি বছরে এই নিয়ে পরপর দুবার বন্যার কবলে পড়ল উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। মাত্র এক মাস আগেই অতিভারী বর্ষণের কারণে অসমের একাধিক জেলার গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। সেই সময়ও ২০ থেকে ২৫ জন বন্যার কারণে প্রাণ হারিয়েছিলেন বলে জানা যায়। গত মাসের বন্যার কারণে এখনও বহু গ্রাম জলমগ্ন ছিল। তার মধ্যেই চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শুরু হয় বর্ষণ এবং মুহূর্তের মধ্যে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে অসমে। জানা যাচ্ছে এই বন্যা পরিস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় লক্ষ লোক তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে ৫১৪ টি রিলিফ ক্যাম্প আশ্রয় নিয়েছেন। অতিভারী বর্ষণের কারণে ব্রহ্মপুত্র, সুবন্সিরি, মানসসহ অসমের পাঁচটি প্রধান নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তার জেরে এই নদীর পার্শ্ববর্তী প্রায় ৪ হাজার গ্রাম এই মুহূর্তে জলের তলায় বলে খবর।

 রাজ্যের রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র চলতি সপ্তাহেই ভূমিধসের কারণে অসমে ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এখনো পর্যন্ত মোট ৬২ জনের প্রাণ কেড়েছে অসমের বন্যা। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন এবং এই পরিস্থিতিতে সমস্ত রকমভাবে সাহায্য করবে কেন্দ্র এমন আশ্বাস দেন বলে জানা গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *