নয়াদিল্লি: গত এক সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে তাণ্ডব চালানোর পর মঙ্গলবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। মঙ্গল সকালে প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার মন্ত্রকের রিপোর্ট জানান দিচ্ছে একটানা ছয় দিন দেশের দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজারের উপরে থাকার পর অবশেষে মঙ্গলবার তা কমে নয় হাজার হয়েছে। কেন্দ্রের হিসেব অনুযায়ী দেশে গত এক দিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯২৩ জন। আগের দিনের থেকে এক ধাক্কায় প্রায় তিন হাজার কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। তবে করোনার দৈনিক সংক্রমণ কম হলেও এখনো কিন্তু দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেস এবং পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হার বিপদজনক জায়গাতেই অবস্থান করছে। মঙ্গলবার সকালের করোনা রিপোর্ট জানাচ্ছে দেশে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ৮০ হাজারের গন্ডিতে প্রবেশ করা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। গত এক দিনে দেশের অ্যাক্টিভ কেস ২৬১৩ বেড়ে এই মুহূর্তে তা দাঁড়িয়ে রয়েছে ৭৯ হাজার ৩১৩ তে। তবে করোনার দৈনিক সংক্রমনের হার তথা পজিটিভিটি রেট গতকাল অর্থাৎ সোমবার যেখানে বেড়ে ৪ শতাংশ হয়েছিল, মঙ্গলবার সেটাই কমে ২.৮ শতাংশ হয়েছে।
অন্যদিকে জানা যাচ্ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে মঙ্গলবার ফের মহারাষ্ট্রকে টপকে গিয়েছে কেরল। মহারাষ্ট্রে গত একদিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩৫৪ জন, সেখানে দক্ষিণের কাছে কেরলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৭৮৬। ঠিক একইভাবে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে মঙ্গলবার কর্নাটককে ছাপিয়ে গিয়েছে তামিলনাড়ু। কেন্দ্রের রিপোর্ট বলছে গত একদিনে কর্নাটকে নতুন করে ৫৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮৬। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে অবস্থিত রাজধানী দিল্লিতে এদিন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমলেও এখনও তা হাজারের উপর অবস্থান করছে বলেই জানা যাচ্ছে।
এদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমার পাশাপাশি মঙ্গলবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও বেশ কিছুটা কমেছে বলে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে গত এক দিন এদেশে নতুন করে করোনার বলি হয়েছেন আরও ১৭ জন। মৃত এই ১৭ জনের মধ্যে পাঁচজন কেরলের বাসিন্দা, দুজন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা, ছয়জন দিল্লির বাসিন্দা এবং উত্তরপ্রদেশ, বাংলা, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে একজন করে করোনার বলি হয়েছেন। তবে এদিন আগের দিনের থেকে সুস্থতার হার বেশ কিছুটা কমেছে। কেন্দ্রের হিসাব বলছে গত একদিনে করোনামুক্ত হয়ে দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭২৯৩ জন।