কলকাতা: মুখয়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন। কিন্তু, ওই সর্বদল প্রশ্নেই মুখ্যমন্ত্রীকে বাক্যবাণ ছুঁড়ে দিচ্ছে বিজেপি। মমতা নিজেই ফোন করে বিরোধী দলের নেতৃত্বকে ডেকেছেন। তাঁর ফোন গিয়েছে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছেও। বৈঠকে যাবে বিজেপি। কিন্তু তার আগে মমতাকে আক্রমণ করে যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখছে বিজেপির
বিজেপির জাতীয় সম্পাদক এবং প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন “যখন দর্বদলীয় বৈঠক ডাকা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল, সেই সময়তে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কোনও সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেন নি। লকডাউন যখন খোলা হল, সেই সময় এই সর্বদলীয় বৈঠক দরকার ছিল।”
রাহুল আরও বলেন, “অদ্ভুত ভাবে এই সরকার করোনা নিয়ে করোনা নিয়ে ছেলেখেলা করেছে। প্রথম থেকেই সংখ্যা গোপন করা, মৃতদেহ লুকিয়ে ফেলা, যত্রতত্র সৎকার করা, সমস্ত ধ্বংসাত্মক কাজ এই সরকার করে গিয়েছে। হাসপাতাল গুলিতে মোবাইল ফোন নেওয়া নিষিদ্ধ করে দিল। কারণ হাসপাতালের হতশ্রী চিত্র, দীর্ণদশা সমস্ত কিছু আম জনতার সামনে চলে আসছিল।”
রাহুলের বক্তব্য, হাসপাতালে রোগী, ডাক্তার, নার্স মোবাইল নিতে পারবে না – রাজ্য সরকার এই সমস্ত কাজে ব্যস্ত ছিল। চাল রেশনের থেকে সেগুলি গায়েব করা, লোপাট করা, মানুষকে না দিয়ে খাওয়ার কাজ করা হয়েছে। সেই সময় সর্বদলীয় বৈঠক করার কথা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বলেছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মুখ ঘুরিয়ে ছিলেন। নিজেই গায়েব হয়ে গিয়েছেন ১২ দিন। আজ এই সর্বদল বৈঠকের যুক্তিকতা নেই।
তিনি আরও জানান, বিজেপি যেকোন বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের এই মানসিকতা অতি নিম্নমানের। এই মানসিকতায় করোনার লড়াই নেই। নজর রাখতে হবে এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কী সিদ্ধান্ত নেন, এবং কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চান।