কলকাতা: বাংলার শাসকদল তৃণমূলের কাছে ২১ জুলাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিনটিকে ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে প্রতি বছর বিপুল জনসমাবেশের আয়োজন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর পারিষদরা। গোটা রাজ্যের দূরদূরান্ত থেকে লক্ষেরও বেশি মানুষ জমা হন কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে। নেতা-নেত্রী থেকে সেলিব্রিটি এবং স্বয়ং মমতাকে দেখতে এবং তাঁর ভাষণ শুনতেই হাজির হন এত এত মানুষ। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে সেই সুযোগ নেই। একসঙ্গে এত মানুষের জমায়েত করার কোনও প্রশ্নই উঠতে পারে না। তাহলে কীভাবে ‘শহিদ দিবস’ পালন করবে তৃণমূল? আগামী বছর রাজ্যের নির্বাচনের আগে এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে শাসকদলের অন্দরে।
জানা গেছে, ২১ জুলাই কী কর্মসূচি পালন হবে এবং কীভাবে হবে তা ঠিক করতে ৩ জুলাই ভার্চুয়াল বৈঠকে বসতে চলেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে থাকবেন দলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা সভাপতি এবং সভাধিপতিরা। পশ্চিমবঙ্গে বাড়তে থাকা বিজেপির আসন এবং জনপ্রিয়তায় কীভাবে বাঁধ দেওয়া যায় তাও আলোচিত হবে এই ভার্চুয়াল বৈঠকে। এখানেই আলোচিত হতে পারে তৃণমূলের নতুন ক্যাম্পেন, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোজা বাংলায় বলছি’। জানা গেছে, এই কর্মসূচির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েনকে।
বাংলার সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বের সম্পর্ক যে মধুর নয় সে কথা সবারই জানা। সদ্য ঘটে যাওয়া সুপার সাইক্লোন আমপানের পর ত্রাণ নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনা প্রসঙ্গে আবারও কেন্দ্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলা বাহুল্য, বাংলায় বিজেপিকে রুখতে বাঙালিয়ানাকেই অস্ত্র করার চেষ্টা চালাবে তৃণমূল। বিশেষজ্ঞদের সে কারণেই সম্ভবত কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোজা বাংলায় বলছি’।