বিজেপি যোগ নয়, শচীনের চাই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার, বলছে কংগ্রেস শিবির

বিজেপি যোগ নয়, শচীনের চাই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার, বলছে কংগ্রেস শিবির

67aa278bc655513b8c2465366c179bd3

নয়াদিল্লি: এ বছরেই মার্চ মাসের ১০ তারিখ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে দলত্যাগ করেছিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। অনতিবিলম্বেই যোগ দেন বিজেপিতে। সিন্ধিয়ার সঙ্গে আরও বেশ কিছু বিধায়ক কংগ্রেস ত্যাগ করায় কং সরকার পড়ে যায় মধ্যপ্রদেশে। সরকার গড়ে বিজেপি এবং শক্তিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সিন্ধিয়া। গতকাল (১২ জুলাই) একই ঘটনা ঘটল রাজস্থানে। এবার বিধায়কদের বৈঠকে উপস্থিত না হয়ে সোজা দিল্লি হাজির হলেন রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট। রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন, বিজেপি নেতা জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি এবং যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। কিন্তু কংগ্রেস দলের অন্দরের সমীকরণ বলছে, শচীনের চাহিদা অন্য, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ চান।

এই প্রথম নয়, মুখ্যমন্ত্রিত্ব পেতে এর আগেও বার দুয়েক চেষ্টা করেছিলেন ৪২ বছরের শচীন। রাজস্থানে দলের শীর্ষনেতা তিনিই। কংগ্রেস শিবিরের একাংশ বলছে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে নেই তাঁর। তিনি স্রেফ মুখ্যমন্ত্রী পদ পাওয়ার জন্য এই চাল চেলেছেন। সপ্তাহখানেক আগে সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কিছু নেতাদের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন শচীন। শচীন দাবি করেছেন, তাঁর হাতে রয়েছে ৩০ বিধায়কের সমর্থন কিন্তু বাস্তবে তা ১২ বলে মত কং শিবিরের। তবু, সেই সংখ্যাও সরকার ফেলে দিতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই শচীনকে তোয়াজ করতে হবেই। ইতিমধ্যে কং মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও জানিয়েছেন, শচীনের জন্য আলোচনার দরজা খোলা। ইতিমধ্যেও কং শিবিরের কিছু নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন।

ভারতীয় জনতা পার্টির তরফেও শচীনের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতো শক্তিমন্ত্রক নয়, বরং শীর্ষপদেই নজর শচীনের বলে মত কং শিবিরের। বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছেন তিনি। বর্তমানে রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে আছেন ৬৯ বছরের অশোক গেলট। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম তো বটেই, সব মিলিয়ে শচীনের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি বলে সূত্রের খবর। তা সত্ত্বেও তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়া হয়েছে। কং শিবিরের একাংশের মত, মুখ্যমন্ত্রী চেয়ার দেওয়া হলেই সমস্ত রাগ জল হয়ে যাবে শচীনের। এরপর কী হবে তা সময়ই বলবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *