কলকাতা: এক সময় সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন দেবেন্দ্রনাথ রায়। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রদেশ কংগ্রেসের সমর্থন। দেবেনবাবুর মৃত্যুর পর সিপিএমের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।
সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘দেবেনবাবু একজন বিধায়ক ছিলেন। তাঁর এই পরিণতি কেন হবে? প্রচার হল আত্মহত্যা। দেখলেই বোঝা যাবে, আত্মহত্যা নয়। আত্মহত্যা কি আত্মহত্যা নয়, তা তদন্ত করা দরকার। ঠিকমত তদন্ত হতে হবে। রাজ্যের পুলিশের উপর কারও ভরসা নেই।’’ সুজনের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কী রাজত্ব চালাচ্ছেন। তাঁর রাজত্বে একের পর এক মানুষ খুন হচ্ছে। বিভিন্ন স্তরের, বিভিন্ন এলাকার মানুষ খুন হচ্ছে। শুধু পঞ্চায়েত স্তরে নয়। তৃণমূলের বিধায়ক এর আগে খুন হয়েছে। বিজেপিতে গিয়েছেন দেবেন রায়, তিনি খুনই হয়েছেন। সবাই তাই বুঝতে পারছেন। তা সত্ত্বেও তদন্তে বেরোবে। কিন্তু এক সরকারের আমলে দু'জন বিধায়ক খুন হল। খুন হোক, আত্মহত্যা হোক ভাবা যায়। মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীত্ব করার যোগ্যতা হারিয়েছেন। যিনি নিজের রাজ্যের বিধায়কদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না, তিনি ব্যর্থ।’’
সুজনের বক্তব্য, সকালে বিজেপি বলেছে সিবিআই চাই। তৃণমূলের কোনও যুবনেতা যুক্ত। বিকালে তৃণমূল বলছে, বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব। সেই কারণে দুপক্ষই নিজের কথা প্রমাণ করতে চায়। মুখ্যমন্ত্রী বলত, সিবিআই নিরপেক্ষ তদন্ত করে। কিন্তু এখন আর মুখ্যমন্ত্রী সেই কথা বলেননা। সত্য প্রকাশিত হোক।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে বিজেপি লাশের রাজনীতি শুরু করেছে। লাশ ছাড়া কিছু দেখছে না। কিন্তু, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিঙ্গুরের তাপসী মালিক থেকে রাজবাজারের রিজওয়ানুর রহমান – নিজেদের লাশের রাজনীতির কথা ভুলে গিয়েছি তৃণমূল। গ্রাম বাংলার কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটলে সেই দেহ কলকাতার রাস্তায় টেনে আনার রেওয়াজ তৃণমূল দেখিয়েছে। যদিও বিজেপি ইতিমধ্যেই বিধায়ক খুনের ঘটনা নিয়ে রাষ্ট্রপতি রমানাথ কভিন্দের কাছে পৌঁছে গিয়েছে৷ রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছেন দলনেত্রী৷