মুম্বই: ২০১৮ এর জুন মাস থেকে এলগার পরিষদ মামলায় গ্রেফতার হওয়া দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হ্যানি বাবু হলেন ১২তম অভিযুক্ত। আবারও তাঁর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী তথা শিক্ষিকা জেনি রোয়েন্ডার উপস্থিতিতে তল্লাশি চালাল জাতীয় তদন্তকারি সংস্থা বা এনআইএ। জেনি জানিয়েছেন, জিএন সাইবাবা ডিফেন্স কমিটির কিছু কাগজপত্র এনআইএ-র আধিকারিকরা বাজেয়াপ্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: কার দখলে থাকবে হিন্দুত্ব? বাল্মিকী-কৌশল্যার পিছনে ঝাঁপাল কংগ্রেস
রবিবার সকালে এনআইএ-র ১০ সদস্যের একটি দল জেনি রোয়েন্ডার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। জেনির কথায় জানা যায় কিছু না জানিয়েই হঠাৎ করেই তারা উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে আট জন পুরুষ এবং দু’ জন মহিলা সদস্য ছিলেন। তখন বাড়িতে শুধুমাত্র জেনি ও তাঁর মেয়ে ছিলেন। এই মামলায় গত ২৮ জুলাই জেনির স্বামী হ্যানি বাবুকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। এর আগেও বহু শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছিল এই মামলায়। জেনি জানিয়েছেন, তদন্তকারীরা তাঁর বাড়ি থেকে বেশ কিছু হার্ড ডিস্ক এবং জিএন সাইবাবার মুক্তি কমিটির রাখা কিছু কাগজপত্র নিয়ে যান। তল্লাশি চালাবার আগে তদন্তকারী অফিসারদের থেকে জেনি কিছু বন্ধুকে সেই বিষয়ে জানাবার অনুমতি চেয়েছিলেন, সেই বন্ধুরা আসার পরই এনআইএ আধিকারিকরা তদন্ত শুরু করেন।
আরও পড়ুন: অক্সফোর্ডের করোনা টিকা প্রয়োগে বড় পদক্ষপ কেন্দ্রের
মাওবাদী কার্যকলাপে জড়িত, এই অভিযোগে এনআইএ গ্রেফতার করেছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিএন সাইবাবাকে। আদালত তাঁকে দোষী প্রমাণ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। বর্তমানে তাঁকে নাগপুর সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে। জেনির দাবি, এনআইএ আধিকারিকরা সাইবাবা মুক্তি সংক্রান্ত যেসব কাগজপত্র নিয়ে গেছেন তা জনসমক্ষেই রাখা হয়েছিল। সাইবাবার গ্রেফতারির পর গঠিত মুক্তি কমিটি থেকে নানা জায়গার বিক্ষোভে এগুলি প্রচার করা হয়েছিল। শিক্ষিকার বাড়িতে এভাবে না জানিয়ে তল্লাশি চালানোর নিন্দা করেছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমিটি। এই কমিটির সভাপতি রাজীব রায় সরকারের উদ্দেশে জানিয়েছেন, শিক্ষাবিদ ও মেধাবী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বেআইনি পদক্ষেপ ও প্রতিহিংসা পরায়ণ মনোভাব থেকে দূরে থাকতে।