শোভনের ঘরে ফেরার সম্ভাবনায় হোঁচট! নয়া সমীকরণ পিকে’র

শোভনের ঘরে ফেরার সম্ভাবনায় হোঁচট! নয়া সমীকরণ পিকে’র

 

কলকাতা: রত্না কাঁটা সরিয়ে কি ঘরে ফেরানো হবে প্রিয় কাননকে?  ক্ষমতা কাটছাঁট করে, গেরুয়া শোভন ফিরবেন ঘাসফুলে৷ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একবার চর্চার কেন্দ্রে শোভন-প্রসঙ্গ৷ কিন্তু, সেই সমস্ত চর্চায় জল ঢেলে নতুন পথে বইতে শুরু করেছে শোভন-রত্নার রাজনীতি৷

সমস্ত জল্পনায় কার্যত জল ঢেলে ফের সক্রিয় হচ্ছেন শোভন-পত্নী রচনা চট্টোপাধ্যায়৷ আর তাতেই এই যাত্রায় আর ঘরে ফেরা হচ্ছে না শোভনের৷ কিন্তু, হঠাৎ কী এমন হল, যাতে শোভন-সম্ভাবনা ফিঁকে হয়ে গেল? রত্না থাকলে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে রাজনীতি করতে আপত্তির কথা আগেই জানিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ বিজেপিতে নাম লেখানো পরেও শোভনের সঙ্গে তৃণমূলের সখ্যতা ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছিল চর্চা৷ আর সেই চর্চার আবহে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষমতা খর্ব করে শোভনকে ঘরে ফেরানো নিয়েও শুরু হয়েছিল নানান কৌশল৷ আর সেই সমস্ত জল্পনায় এবার জল ঢালে গোটা বিষয়টি স্পষ্ট করলেন রত্নাদেবী৷

তৃণমূল সূত্রে খবর, আপাতত তৃণমূলে ফেরা হচ্ছে না শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ আগের মতোই ওয়ার্ডের দায়িত্ব পালন করবেন রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ ‘‘আমি আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাব৷ দলের একাংশের তৈরি করা গুজব ছড়িয়েছে৷ আমি আজও আমার ওয়ার্ডে কাজ করছি৷ দলের তরফে কাজ বন্ধ রাখার কোনও নির্দেশ আমার কাছে এসে পৌঁছায়নি৷’’ আজ রত্নাদেবীকে তাঁর ওয়ার্ডে দলের কাজ করতেও দেখা গিয়েছে৷

সোমবার খবর ছড়িয়ে পড়ে, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড সংগঠনের কাজ আপতত থামিয়ে রখতে বলা হয়েছে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে৷ আর এই খবর বাড়তে থাকে শোভনের ঘরে ফেরার জল্পনা৷ কিন্তু, সূত্রের খবর, শোভনকে দলে ফেরাতে চাইছেন তৃণমূল নেতাদের একাংশ৷ তৃণমূলে অনেকেই আগ্রহী হলেও আপত্তি রয়েছে ‘ভোটগুরু’র৷ পিকের সংস্থার আপত্তির কারণে আপাতত শোভনের ঘরে ফেরা হচ্ছে না বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷ কেননা, ২১-এর নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত করতে মোটা টাকার চুক্তি রয়েছে পিকের সংস্থার৷ ফলে, আগ্রহী থাকলেও পিকের আপত্তিতে ঘাসফুলে বদলে গিয়েছে শোভন-রণকৌশল৷

পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের ধারণা, পিকের এই রণকৌশলের পিছনে বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে৷ কেননা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির বাইরে রয়েছেন শোভন৷ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরও নিষ্ক্রিয় তিনি৷ ফলে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় নেতা, ফের সক্রিয় হতে গেলে বেশ কিছু কাঠ-খড় পোড়াতে হবে৷ কিন্তু নির্বাচন যে এগিয়ে আসছে৷  ফলে অতটা সময় হয়তো শোভনকে দেওয়া ঠিক হবে না৷ রয়েছে নারদ কেলেঙ্কারি৷ ফলে তাঁকে নতুন করে ঘরে ফেরালে নতুন করে অসস্তি বাড়তে পারে৷ আর সেই কারণে কি এই আপত্তি? প্রশ্ন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের৷ তবে  নিষ্ক্রিয় শোভন যদি সক্রিয় হয়ে ঘাসফুলে ফিরতে চান, সে ক্ষেত্রে সমীকরণ রাতারাতি বদলাতে পারে বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা একাংশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 5 =