সোনিয়া-মমতার সম্পর্কের রসায়ন দুশ্চিন্তায় রাখবে বিজেপিকে?

সোনিয়া-মমতার সম্পর্কের রসায়ন দুশ্চিন্তায় রাখবে বিজেপিকে?

দেবময় ঘোষ: সরকারি অফিসকে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। রাজ্য সরকারের সদর দফতর নবান্নে বসে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে নেতৃত্বের ভার তাকেই তুলে দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধী। তবে মমতা এবং সোনিয়ার সখ্যতা এবং পশ্চিমবঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে অনেকেই নতুন চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন। তবে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থান তৃণমূল কংগ্রেসের বিপরীতমুখী। তৃণমূলের রাজনীতিকে 'দুর্নীতিপরায়ণ' তকমা লাগিয়েছে কংগ্রেস। তারপর, পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সঙ্গী, এক সময়ের প্রতিপক্ষ বামফ্রন্ট।

কিন্তু সোনিয়া-মমতা সখ্যতা দেখে তৃণমূল বা বিজেপি কী চিন্তা করতে পারে। রাজ্যে উঠতি শক্তি বিজেপির সঙ্গে লড়াই করতে বন্ধু খুঁজছে তৃণমূল। তবে, আপাতত তারা বন্ধুহীন। অন্যদিকে, বিজেপি চায় রাজ্যে বাম-কংগ্রেস নিজের ভোটব্যাংক অটুট রেখে তৃণমূলকে অসহায় করে দিক। সোনিয়া-মমতার সখ্যতা অনেককে ভাবতে সাহায্য করছে, বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কী তৃণমূলকে সাহায্য করবে? ২০১১ সালে মমতাকে সমর্থন করেছিল কংগ্রেস। যদিও সেই বন্ধুত্ব বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। অপাতত ওই শেষবার। এরপর দিনদিন কংগ্রেসের তৃণমূল বিরোধিতা বেড়েছে। ২০১৬ সালে বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছে কংগ্রেস। কিন্তু কালীঘাটমুখো হয়নি।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে গেরুয়া শক্তির উত্থান সোনিয়ার অজানা নয়। বিজেপিকে আটকাতে মমতা লড়ছে। কংগ্রেস কী শর্ত সাপেক্ষে হলেও বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ভাববে? হাইকমান্ডের নির্দেশ থাকলে প্রদেশ নেতৃত্বের কিছুই করার থাকবে না। সেক্ষেত্রে, সূর্যকান্ত মিশ্রদের মুখের উপর না বলতেই বাধ্য থাকবেন আব্দুল মান্নানরা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগেও হাইকমান্ড জানতে চেয়েছিল। বাম-কংগ্রেস সমঝোতা প্রায় হয়নি বললেই চলে। এবার এমন কিছুর অপেক্ষা করবে কী তৃণমূল?  –ফাইল ছবি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *