মুজফফরপুর: পুলিশের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছিল দেহ ব্যবসা৷ ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি পুলিশ৷ অবশেষ এক তরুণীর চিৎকারে হল পর্দা ফাঁস৷
কাজ দেওয়ার নাম করে কম বয়সী যুবতীদের ডেকে আনা হত এখানে৷ এর পর কাজের বদলে জোর করে তাদের নামানো হত দেহ ব্যবসার কাজে৷ কেউ রাজি না হলে চলত অকথ্য অত্যাচার৷ এমনই এক তরুণী দেহ ব্যবসার কাজে রাজি না হওয়ায় তাঁকে প্রবল মারধর করা হয়৷ তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে এসে স্থানীয়রা৷ খবর দেওয়া হয় থানায়৷ এর পরেই গোটা চক্রের পর্দা ফাঁস হয়৷
থানা থেকে মাত্র ১০০ মিটারের মধ্যে চলছিল এই সেক্স ব়্যাকেট৷ ঘটনাটি বিহারের মুজফফরপুরের৷ অভিযান চালিয়ে তিন যুবতীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিশ জানতে পারে, কাজ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেয়েদের এখানে নিয়ে আসা হয়৷ ওই ফাঁদে পা দিলে আর নিস্তার ছিল না৷ থানার কাছে ছোট্ট একটি বাড়ির মধ্যেই রমরমিয়ে চলছিল এই দেহ ব্যবসার কাজ৷ রোজ অল্পবয়সী মেয়েদের এই বাড়িতে আসত্ দেখে সন্দেহ হয়েছিল এলাকাবাসীর৷ কিন্তু তাঁরা কিছু জানতে পারেনি৷ বুধবার এমনই এক তরুণী সেখানে এসেছিল৷ তিনি দেহ ব্যবসার কাজে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয়৷ তাঁর চিৎকার শুনেই ছুটে আসে আশেপাশের লোকজন৷ পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার করে৷ জানা গিয়েছে ওই তরুণীর বাড়ি শমস্তিপুরে৷