কলকাতা: নিজের প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগাচ্ছেন। মনে করেন বিজেপি সাংসদ এবং সাধারণ সম্পাদক লকেট চ্যাটার্জি। লকেটের মতে, মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন। ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে গেলে আগামী দিনে বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। আবার অন্যদিকে, পার্টির অনুষ্ঠানের জন্য তাদেরকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। লকেট বলেন, ‘‘করোনা নিয়ে রাজ্য সরকার যেভাবে লকডাউন করছে তা হাস্যকর। যেন লুডো খেলা। লকডাউনে এক-দুই-ছয়-পুট এই ভাবে একদিন অন্তর একদিন লুডো খেলা হচ্ছে।’’
লকেটের আরও বক্তব্য, ‘‘আজকে (মুখ্যমন্ত্রীর) মনে হল যুবদের প্রতিষ্ঠা দিবস রয়েছে, আজ লকডাউন রাখবেন না। একমাসে সাতবার লকডাউনের তারিখ পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ বুঝতেই পারছেন না। মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশের কাছে জিজ্ঞাসা করছে, আজ না কাল লকডাউন? উনি তুঘলকি শাসন চালাচ্ছেন। কিন্তু লকডাউন যখন সারা ভারতেই শুরু হয়েছিল তখন পশ্চিমবঙ্গে ঠিক ভাবে পালন করা হয়নি। আজকাল প্রতিদিন তিন-সাড়ে তিন হাজার আক্রান্ত হয়। প্রতিদিন পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন জন মারা যায়।’’
#JuboBirodhiTMC pic.twitter.com/Rkc5J8wZN8
— Locket Chatterjee (@me_locket) August 28, 2020
#JuboBirodhiTMC pic.twitter.com/Rkc5J8wZN8
— Locket Chatterjee (@me_locket) August 28, 2020
Mamata Banerjee has failed to every section of society be it youth or women. Youths are unemployed and directionless due to her governance in last 9 years. #JuboBirodhiTMC
— Locket Chatterjee (@me_locket) August 28, 2020
লকেট শুরুতেই জানান, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে বিজেপি কর্মীরা একত্রিত হলে পুলিশ কেস দিয়ে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তৃণমূলের যুব দিবস বা ২১ জুলাইতে কাতারে কাতারে লোক জমা হলেও পুলিশ চুপ। বিজেপির বেলায় অতিমারীর নিয়ম। কিন্তু তৃণমূলের বেলায় নেই। লকেটের মতে, হুগলি লোকসভা কেন্দ্র একদমই তৃণমূলের গড় ছিল। কিন্তু মানুষ তৃণমূলকে হারিয়েছে। এখানে অতিমারীর সময় রেশন দুর্নীতি নিয়ে যা হয়েছে, সেই সময় দলীয় কর্মীরা মানুষের পাশে থেকেছে। রাস্তায় নেমে কাজ করেছে। লকেটের বক্তব্য, তৃনামুল খুনের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনও ছাড়েনি। ওইদিন ও খুন খারাপি হয়েছে। এরা এদেশের স্বাধীনতা দিবস মানে না।