গৃহযুদ্ধের আগুনে পুড়ছে কংগ্রেস! সোনিয়ার নেতৃত্বে অনাস্থা ‘বিদ্রোহী’ গুলামের

কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন 'বিদ্রোহী' নেতা গুলাম নবি আজাদ। সম্প্রতি কংগ্রেসের স্থায়ী নেতৃত্বের নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করা হলেও এখনও নির্দিষ্ট কাউকে মনোনিত করা হয়নি, সেখানে আগামী ৬ মাসের জন্য ফের সোনিয়া গান্ধীকেই সভানেত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের ভিতরে আমূল পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে ২৩ জন বিদ্রোহী নেতা সোনিয়াকে চিঠি লিখেছেন, গুলাম নবি আজাদ তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

 

নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন নিয়ে ফের একবার সুর চড়ালেন 'বিদ্রোহী' নেতা গুলাম নবি আজাদ। সম্প্রতি কংগ্রেসের স্থায়ী নেতৃত্বের নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করা হলেও এখনও নির্দিষ্ট কাউকে মনোনিত করা হয়নি, সেখানে আগামী ৬ মাসের জন্য ফের সোনিয়া গান্ধীকে সভানেত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেসের ভিতরে আমূল পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে ২৩ জন বিদ্রোহী নেতা সোনিয়াকে চিঠি লিখেছেন, গুলাম নবি আজাদ তাঁদের মধ্যে অন্যতম।

কিছুদিন আগেই রাহুল গান্ধী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গান্ধী পরিবারের কেউ আর কংগ্রেসের হাল ধরবে না, দলকে এবার নিজের ব্যবস্থা নিজেকেই করে নিতে হবে। দাদা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুলের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এদিকে দলের অভ্যন্তরে কোনও নির্দিষ্ট নেতৃত্ব না থাকায়, দল দিশাহারা হয়ে পড়ছে, এমনটাই দাবি দলের বর্ষীয়ান নেতাদের। সেক্ষেত্রে তাঁদের দাবি, হয় রাহুল ক্ষমতায় ফিরুক, নাহলে যত দ্রুত সম্ভব কোনও স্থায়ী নেতৃত্ব মনোনিত করা হোক। বিদ্রোহীদের বার্তা দিতেই সোনিয়া বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার নতুন কমিটির জন্যে হমদ পটেলের মতো বিশ্বস্ত নেতাদের নিয়ে আসেন বৈঠকে। কারণ হিসাবে সংগঠন মজবুত করার কথা বলেন সোনিয়া। কিন্তু এর পিছনে বিদ্রোহীদের মুখ বন্ধ করাই যে একমাত্র কারণ তা বুঝতে পেরে সুর চড়ান গুলাম নবিদের মতো বর্ষীয়ান নেতারা।

সোনিয়া গান্ধী যে সমস্ত নেতাদের নিয়ে এসেছেন, তাদের প্রত্যেকেই গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ। এই পদক্ষেপের জন্যে গর্জে উঠেছেন একাধিক কংগ্রেস নেতা। আজাদ শুধুমাত্র কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনই নয়, রাজ্যের প্রধান, জেলা সভাপতি, ব্লক সভাপতি ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলির প্রত্যেকটিতেই নির্বাচনের দাবি করেছেন। আজাদের কথায়, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করতে এখনই নেতৃত্ব ঠিক করা দরকার, নাহলে আগামী ৫০ বছর কংগ্রেসকে বিরোধী আসনেই বসে থাকতে হবে।

সাংগাঠনিক নির্বাচনের পিছনে কারণ হিসাবে গুলাম জানিয়েছেন, দলের নেতৃত্বের নির্বাচনে কমপক্ষে ৫১ শতাংশ ভোট দরকার হয়। সেক্ষেত্রে দলের অন্দরেই ২ থেকে ৩ জনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। যাঁর ঝুলিতে ওই ৫১ শতাংশ ভোট থাকবে তিনিই নির্বাচিত হবেন। এরপর আজাদ সোনিয়ার নাম না করেই বলেন, সোনিয়ার ক্ষেত্রে দলের এক শতাংশেরও সমর্থন নেই। তাই এখন যদি কমিটির নির্বাচন হয়, তাহলে নির্বাচিতদের পদ থেকে সরানো যাবে না। আজাদের কথায়,  যাঁরা সাংগঠনিক নির্বাচনে ভোটের ভিত্তিতে দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ পদ অধিকার করলেন তাঁরা ভাবতেই পারেন, পরের বার আবারও তারা ফিরে আসবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে মাথায় রাখা প্রয়োজন দলীয় কর্মীদের মধ্যে এক শতাংশও সমর্থন করেন না সোনিয়াকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − eight =