দেবময় ঘোষ: পোস্ট এবং টেলিগ্রাফ বিভাগের অপার ডিভিশন ক্লার্ক থেকে কলেজের লেকচারার। কিছু সময় সাংবাদিকতার পর তিনি রাজনীতিকে আপন করে নেন। রাজনীতিতে বহু কৃতিত্বের অধিকারী প্রণব মুখোপাধ্যায় এভাবেই পা রেখেছিলেন পেশাগত জীবনে।
আপার ডিভিশন ক্লার্ক, শিক্ষক, সাংবাদিক, একাধিকবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের মন্ত্রীত্ব এবং সবশেষে রাষ্ট্রপতিত্ব – রাজার মত রাজনীতি করেছে প্রণব মুখোপাধ্যায়। দিন গিয়েছে, তার মুকুটে এক একটি পালক সজ্জিত হয়েছে।
ভারত সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রকের আওতায় থাকা পোস্ট এবং টেলিগ্রাফ দফতরে ডেপুটি একাউন্টেন্ট-এর অফিসে আপার ডিভিশন ক্লার্ক হিসাবে নিজের পেশাগত জীবনে শুরু করেন কীর্নাহারের প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৬৩ সালে কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে অধ্যাপনা করতে আসেন। এরপর আসেন সাংবাদিকতায়। 'দেশের ডাক' পত্রিকায় লিখেছিলেন। তবে, ১৯৬৯ সাল থেকে রাজনীতিতেই পাকাপাকি মনোনিবেশ করেন। সেবছর তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হন।
১৯৭৩-৭৪ সালে শিল্প দফতরের ডেপুটি মিনিস্টার হিসাবে মন্ত্রিসভায় যাত্রা শুরু করে। ১৯৮২ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি অর্থমন্ত্রী হন। জাহাজ থেকে রাজস্ব, বাণিজ্য থেকে প্রতিরক্ষা – নানান দফতর সামলেছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন। তা কিছুদিনের মধ্যেই মূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। ১৯৯১ সালে প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ঠিক ১০ বছর আগে ২০০৯ সালে অর্থমন্ত্রী হিসাবে শেষ বাজেট পেশ করেন। ২০১২ সালে দেশের ১৩ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনিই প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র বাঙালি রাষ্ট্রপতি।