কলকাতা: ফের রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সরকারের কাজে সমালোচনা করতে গিয়ে তিনি রাজ্য সরকারকে পরোক্ষে প্রতারক বলে বিঁধলেন। করোনা পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি রোধ করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের বিষয়টিকে ধনকর মিথ্যে এবং চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা বলে মন্তব্য করেন। এবিষয়ে একটি চিঠিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখেন রাজ্যপাল।
স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির তদন্ত করতে সময় নির্ধারিত করে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিন। তাঁর চিঠিতে ধনখড় লিখেছেন, সূত্র অনুযায়ী, ক্রয় তালিকায় অন্যান্য সরঞ্জামের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ছিল ১০ লাখ পিপিই, ৩৭ লাখ এন-৯৫ মাস্ক ও ৪০ লাখ গ্লাভস। তাঁর অভিযোগ, নিয়ম শিথিল করে এক্ষেত্রে দু হাজার কোটি টাকা রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে খরচ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই মেডিক্যাল সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব ও স্বাস্থ্য সচিবকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কমিটি তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রধান সচিবকে।
রাজ্যপালের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল সরঞ্জামের আবেদন করেছিলেন প্রধান সচিব স্বয়ং। ফলে তাঁর নেতৃত্বে চালিত এই তদন্ত কমিটির কাজে স্বার্থের প্রভাব পড়তেই পারে বলে তিনি মনে করেন। ফলে তদন্ত প্রক্রিয়া চললেও আসলে কাজের কাজ কিছু হবে না বলেই তাঁর ধারনা। ফলে এই সরকারী তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টিকে মিথ্যে এবং প্রতারণার সামিল বলে মনে করছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।
শুধু তাই নয়, মমতাকে লেখা দুই পাতার চিঠির ছবি-সহ তাঁর অভিযোগ টুইটারে পোস্ট করেন রাজ্যপাল। ধনকরের অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, মেডিক্যাল সরঞ্জাম কেনার বিষয়টি রাজ্য সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং বিচারবিভাগীয় তদন্তের এক্তিয়ারের বাইরে। লোকসভার তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘রাজ্যপালের রোজ প্রকাশ্যে মন্তব্য করার প্রবণতায় সমস্যা দেখা দিচ্ছে।’