বিশ্বে প্রথম পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক ইনজেকশন আবিষ্কার ভারতের

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ৫০ বছরের গবেষণায় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত৷ বিশ্বে এই প্রথম পুরুষদের গর্ভনিরোধক ইনজেকশনের পরীক্ষায় চূড়ান্ত সাফল্য পেল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ৷ অবশেষে ওই ওষুধ বাজারে আসতে চলেছে৷ আইসিএমআরের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছেন, বহুবছরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল হয়েছে এই ইনজেকশন৷ এবার বাজারে আনার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার সবুজ সংকেত

বিশ্বে প্রথম পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক ইনজেকশন আবিষ্কার ভারতের

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ৫০ বছরের গবেষণায় সাফল্যের মুখ দেখল ভারত৷ বিশ্বে এই প্রথম পুরুষদের গর্ভনিরোধক ইনজেকশনের পরীক্ষায় চূড়ান্ত সাফল্য পেল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ৷ অবশেষে ওই ওষুধ বাজারে আসতে চলেছে৷

আইসিএমআরের এক প্রবীণ চিকিৎসক জানিয়েছেন, বহুবছরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সফল হয়েছে এই ইনজেকশন৷ এবার বাজারে আনার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার সবুজ সংকেত মিললে তা দেশের বাজারে ছড়িয়ে দেওয়া হবে৷ বিশ্বের প্রথম দেশ যারা, পুরুষদের জন্মনিয়ন্ত্রণের অভিনব আবিস্কারের স্বীকৃতি অর্জন করল৷

দেশে এখনও পুরুষ গর্ভনিরোধক নিয়ে ছুঁৎমার্গ রয়েছে৷ প্রায় সব উন্নত দেশে জন্মনিয়ন্ত্রণের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় মহিলাদের ওপর৷ ন্যাশনাল ফামেলি হেলথ সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ৩৬ শতাংশ মহিলার ওপর পরীক্ষা করা হয়৷ মাত্র সাড়ে পাঁচ শতাংশ পুরুষ কনডম ব্যবহার করেন৷ প্রায় ৯০ শতাংশ মহিলা পরিবার পরিকল্পনার ব্যাপারে স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন স্বামীরা৷ মহিলাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার হার খুব কম৷ মাত্র কুড়ি শতাংশ৷ প্রত্যন্ত এলাকায় জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সচেতনতার অভাব রয়েছে৷

অস্থায়ী জরুরি অবস্থায় বাজারে যেসব গর্ভনিরোধক ওষুধ আছে, তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক৷ বহু বছর ধরেই চলছিল পুরুষদের গর্ভনিরোধক ইনজেকশনের পরীক্ষা অবশেষে মিলল সাফল্য৷ জানা গিয়েছে, এই জন্মনিয়ন্ত্রক ওষুধ প্রথম ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করা হয়৷ পরে মানুষের শরীরে৷ গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত পুরুষদের ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণের স্থায়ী পদ্ধতি ছিল ভ্যাসেক্টমি৷ সেই জায়গা দখল করে এই ইঞ্জেকশন দীর্ঘমেয়াদি জন্মনিয়ন্ত্রণের কার্যকরী হবে৷ এর মেয়াদ থাকবে ১৩ বছর৷ পরে নিজে থেকেই এর প্রভাব বন্ধ হয়ে যাবে৷ ইতিমধ্যেই ৩২০ জন পুরুষের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে৷ সাফল্য পেয়েছেন ৯৭ শতাংশ পুরুষ শরীরে৷ দেখা যায়নি কোনও পার্শপ্রতিক্রিয়া৷ আর এই নিয়েই এবার জোরকদমে বাজারে নামতে চলেছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − twelve =